রাজীব রায়ের পর প্রতিবাদীর রক্তে ভেজা রাজ্যে অপেক্ষায় বরুণ বিশ্বাস, কামদুনি পরিবার

Updated By: Feb 12, 2015, 10:12 PM IST
রাজীব রায়ের পর প্রতিবাদীর রক্তে ভেজা রাজ্যে অপেক্ষায় বরুণ বিশ্বাস, কামদুনি পরিবার

রাজীব দাসের মত কিশোর ছাত্রের মর্মান্তিক পরিণতির পরও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। কামদুনি গণধর্ষণ, মধ্যমগ্রামের ঘটনা তারই প্রমাণ। এখানেই শেষ নয়। বরুণ বিশ্বাস, সৌরভ চৌধুরীর মত প্রতিবাদীদের খুনেরও সাক্ষী থেকেছে উত্তর চব্বিশ পরগনা। কোনও কোনও ঘটনা সাময়িক ভাবে প্রতিবাদের ঢেউ বয়ে নিয়ে আসে। বারাসতের রাজীব হত্যাকাণ্ড ছিল সেরকম একটা ঘটনা। কিন্তু বিক্ষোভ, প্রতিবাদের স্বর থিতিয়ে যেতেই ফের ফণা তোলে প্রাণঘাতী আঁধার।

চার বছর আগে দিদিকে ইভটিজারদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে জীবন দিতে হয়েছিল রাজীবকে। এক ছাত্রের এমন করুণ পরিণতিতেও সমাজ যে শুধরোয়নি, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। রাজীবের রক্তে আশ মেটেনি নারী নির্যাতনকারীদের।

৫ জুলাই ২০১২
নিহত বরুণ বিশ্বাস  

রাজীবের মৃত্যুর পরের বছরই আরেক প্রতিবাদীর মৃত্যু দেখে রাজ্যবাসী। বরুণ খুনের মামলা এখনও বিচারাধীন। পরিবারের অভিযোগ, আসল অপরাধীরা ধরা পড়েনি।

৭ জুন ২০১৩
কামদুনি কাণ্ড

ভর দুপুরে নির্জন রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক কলেজছাত্রী। পাঁচিল ঘেরা জমিতে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে খুন করা হয় তাঁকে। জনরোষের চাপে পড়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিস। মামলা বিচারাধীন।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৩

মধ্যমগ্রামের নির্যাতিতার মৃত্যু

বিহারের বাড়ি থেকে বাবার কাছে মধ্যমগ্রামে বেড়াতে এসেছিল কিশোরী মেয়ে। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। পুলিসে অভিযোগ জানানোয় নির্যাতিতাকে আবার গণধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। পরে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। প্রায় সব অভিযুক্তই গ্রেফতার। মামলা বিচারাধীন।

৫ জুলাই ২০১৪
নিহত সৌরভ

এলাকায় সমাজ বিরোধী কাজকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বামনগাছির সৌরভ চৌধুরী। কলেজ ছাত্র সৌরভকে খুন করে রেললাইনে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। উদ্ধার হয় প্রতিবাদীর টুকরো টুকরো দেহ। অভিযুক্তরা গ্রেফতার। মামলা বিচারাধীন।

বারবার বারাসত। বারবার উত্তর চব্বিশ পরগনা। এতো গেল কলকাতার উপকণ্ঠের কথা। পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত কাদের সহ দুজন এখনও ফেরার। বিচারের আশায় বসে রয়েছেন সেই নির্যাতিতাও।

 

.