উন্নয়নের স্বার্থে মিশে যাচ্ছে অজয়, দামোদর নদ
মিশে যাবে অজয় ও দামোদর। বন্যা প্রতিরোধ ও সেচের উন্নয়নের জন্যই এই উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের জলমন্থন প্রকল্পের আওতায় অজয় ও দামোদর নদের সংযুক্তিকরণ হবে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সারা বছর জল থাকবে অজয় নদে। একইসঙ্গে বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি ও বীরভূমে সেচের এলাকা বাড়বে।
ওয়েব ডেস্ক: মিশে যাবে অজয় ও দামোদর। বন্যা প্রতিরোধ ও সেচের উন্নয়নের জন্যই এই উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের জলমন্থন প্রকল্পের আওতায় অজয় ও দামোদর নদের সংযুক্তিকরণ হবে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সারা বছর জল থাকবে অজয় নদে। একইসঙ্গে বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি ও বীরভূমে সেচের এলাকা বাড়বে।
কৃষির উন্নয়নে বড়সড় সাফল্য রাজ্যে অজয় ও দামোদর নদ সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি ও বীরভূমে বাড়ানো সম্ভব হবে সেচের এলাকা। ভরা বর্ষায় দামোদর প্লাবিত হয় প্রতিবছর। অন্যদিকে অজয় সারা বছরই শুকিয়ে থাকে। সংযুক্তিকরণের ফলে দামোদরের জল
পাবে অজয়। ফলে বন্যা প্রতিরোধও সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞ কমিটিকে দিয়ে এবিষয়ে সমীক্ষা করায় রাজ্য। সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয় কাটোয়ার কাছে নতুন গ্রামে মজে যাওয়া নদী কুন্নুর ও সিংগাম খালের সংস্কার করে অজয় ও দামোদর সংযুক্তিকরণ সম্ভব। গত একুশে নভেম্বরে এই রিপোর্ট পাঠানো হয় কেন্দ্রের কাছে। সম্প্রতি প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।
অজয় ও দামোদর সংযক্তিকরণের ফলে চার জেলার একলক্ষ হেক্টর নতুন সেচের জমি পাওয়া যাবে। মোট পঁয়তাল্লিশ কিলোমিটার নদীপথ সংস্কার করা হবে।
কেন্দ্রের জলমন্থন প্রকল্পের আওতায় হওয়ায় খরচের পুরো টাকাই দেবে কেন্দ্র।
পূর্ব ভারতে নদী সংযুক্তিকরণের কাজ প্রথম হবে এরাজ্যেই। এর আগে মধ্যপ্রদেশের কেন ও বারি নদীর সংযুক্তিকরণ হয়েছিল। এছাড়াও পাঞ্জাবের শতদ্রু ও বিয়াস নদীর সংযুক্তিকরণেও সেচের জল ব্যবহার করে কৃষির উত্পাদন বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।