বন্ধ চা বাগান-অনাহারের গল্পটা অলিপুরদুয়ারেও এক
প্রায় দু মাস ধরে বন্ধ চা-বাগান। রোজগারপাতি নেই। চরম দুরবস্থার শিকার আলিপুরদুয়ারের রহিমাবাদ চা বাগানের শ্রমিকরা। গতবছর খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘোষণা করেছিলেন, কোনও চা বাগান বন্ধ হলেই তারপর থেকে দু টাকা কেজি দরে রেশন পাবেন শ্রমিকরা। কিন্তু এখানে বাস্তব ছবি বলছে অন্য কথা।
জলপাইগুড়ি: প্রায় দু মাস ধরে বন্ধ চা-বাগান। রোজগারপাতি নেই। চরম দুরবস্থার শিকার আলিপুরদুয়ারের রহিমাবাদ চা বাগানের শ্রমিকরা। গতবছর খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘোষণা করেছিলেন, কোনও চা বাগান বন্ধ হলেই তারপর থেকে দু টাকা কেজি দরে রেশন পাবেন শ্রমিকরা। কিন্তু এখানে বাস্তব ছবি বলছে অন্য কথা।
তালা পড়ছে উত্তরবঙ্গের একের পর এক চা বাগানে। একই দশা আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের রহিমাবাদ চা বাগানেও। কর্তৃপক্ষ বাগান বন্ধ করে চলে গেছে, তাও প্রায় মাস দুয়েক হতে চলল। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে শ্রমিকদের। বাগান বন্ধের পরপরই স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বারো কেজি চাল দেওয়া হয়েছিল শ্রমিক পরিবারগুলিকে। কিন্তু তাতে ক-দিন চলে? একদিকে যখন দু মুঠো চাল জোগাড়ের দুশ্চিন্তা, আরেকদিকে তখন চিন্তা স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েও। অসুস্থ হলে চিকিত্সার টাকা নেই। বন্ধ বাগানের হাসপাতালটিও।
এমনই অবস্থা যে, চোখের সামনে মাকে বিনা চিকিত্সায় মরতে দেখেও কিছু করতে পারেনি ছেলে। শ্রমিকদের কেউ কেউ রোজগারের আশায় ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন। তবে যাঁরা এখনও পড়ে রয়েছেন, তাঁরা বাঁচার পথ খুঁজতে ব্যস্ত।