'আমি ভুল করেছি'
ফের একবার শিরোনামে পাড়ুই। সকাল থেকে চৌমণ্ডলপুর থেকে খবর আসছিল। পুলিসকে "বোম মারা' হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন পাড়ুই থানার ওসি প্রসেনজিত্ দত্ত।
ওয়েব ডেস্ক: ফের একবার শিরোনামে পাড়ুই। সকাল থেকে চৌমণ্ডলপুর থেকে খবর আসছিল। পুলিসকে "বোম মারা' হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন পাড়ুই থানার ওসি প্রসেনজিত্ দত্ত।
বিকেল ৪টে। নিউজ রুম অনুষ্ঠান চলছিল তখন। ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে টেলিফোনের অপর প্রান্তে ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আগাগোড়াই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ খণ্ডন করতে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু তারপর যেটা হল সেটা হজম করতে খানিকটা সময় লাগল বইকি।
কেন? সেটা বুঝতে একটু পিছিয়ে যেতে হবে। ১৭ জুলাই ২০১৩। সেদিনও টেলিভিশন স্ক্রিনে ছিলেন এই অনুব্রতই। মেজাজে...
বীরভূমের একটি জনসভা নির্বাচনের আগে প্রকাশ্য সমাবেশে পুলিসকে "বোম মারার' নির্দেশ দেন তিনি। নির্দেশ ছিল দলীর কর্মীদের জন্য। আইনী জটিলতা হলে সেটা সামলে নেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি। সেই বক্তব্যের পর, কোনও সমালোচনার ঝড় ওঠেনি...যা হয়েছিল তা রাজ্যের প্রথম সারির সবকটি সংবাদপত্র তাড়া তাড়া নিউজ প্রিন্ট আর টেলিভিশন চ্যানেলের ব্যাণ্ড উইথের খরচা হিসেব দিয়ে যাবে। হাইকোর্ট বনাম রাজ্যপুলিস। একের পর এক আইনী চাবুক। কিন্তু কেষ্টাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিসের কোনও বড় কর্তা।
১৭ তারিখের কেষ্ঠার হুমকি শুনে নাকি বীরভূমের পুলিস মহলের কলসি খালি হয়ে গিয়েছিল। পুলিসের বড় কর্তারা কেষ্টার হুমকিকে এতটাই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিলেন যে তাঁকে গ্রেফতার করা তো দূরের কথা, কাছে পিঠে ঘেসতেও চায়নি পুলিস।
১ বছর ৩ মাস পর শুক্রবার ২৪ ঘণ্টার নিউজ রুম অনুষ্ঠানে ক্ষমা চাইলেন অনুব্রত মণ্ডল। হ্যাঁ। বললেন, "আমি ক্ষমাপ্রার্থী।'
অনুব্রত উবাচ:
মৌপিয়া নন্দী: অনুব্রত বাবু আপনাকে একটু টেলিফোনে থাকতে বলল প্লিজ। আমরা শুনে নেব ১৭ জুলাই ২০১৩ ঠিক কী বলেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
১৭ তারিখের সেই বক্তব্য
অনুব্রত: ম্যাডাম... ম্যাডাম... ওটা স্লিপ অফ টাং ছিল। আমি ওটা বলতে চাইনি।
মৌপিয়া: আপনি কী মনে করেন ওই মন্তব্যের জন্য আপনি ক্ষমাপ্রার্থী?
অনুব্রত: (উত্তেজিত) হ্যাঁ। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বিশ্বাস করুন আমি জীবনে একটা মাছিও মারিনি।
মৌপিয়া: আপনার মনে হয় আপনি ভুল করেছিলেন?
অনুব্রত: হ্যাঁ আমি ভুল করেছি।
ভুল করে ক্ষমা চাওয়ার জন্য হাততালি নিঃসন্দেহেই পাবেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু তাতে সমস্ত হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক মহল।