টাকা নিয়েছিলেন খুদে, জানতেন আরাবুল, দাবি ভাঙড় হত্যাকাণ্ডের ধৃতের
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড়ে আজিজুল বৈদ্য খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মিঞাজান হালদারকে গ্রেফতার করল পুলিস। গ্রেফতার হওয়ার পরেই প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের ভাই খুদের বিরুদ্ধে নতুন করে একপ্রস্থ অভিযোগ আনলেন মিঞাজান। তাঁর দাবি, টাকা লেনদেনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত খুদে এবং বিষয়টি আগাগোড়াই জানতেন তাঁর দাদা আরাবুল ইসলাম।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড়ে আজিজুল বৈদ্য খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মিঞাজান হালদারকে গ্রেফতার করল পুলিস। গ্রেফতার হওয়ার পরেই প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের ভাই খুদের বিরুদ্ধে নতুন করে একপ্রস্থ অভিযোগ আনলেন মিঞাজান। তাঁর দাবি, টাকা লেনদেনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত খুদে এবং বিষয়টি আগাগোড়াই জানতেন তাঁর দাদা আরাবুল ইসলাম।তাঁর আরও অভিযোগ, আজিজুল বৈদ্য ও তাঁর ভাই মাটি কেনার জন্য যে সাড়ে চার লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন, তার মধ্যে ২ লক্ষ টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়। বাকি আড়াই লক্ষ টাকার মধ্যে মিঞাজান হালদার এবং আরেক অভিযুক্ত মোমিন মোল্লা পান ৩৫ হাজার টাকা। বাকি টাকা থাকে খুদের কাছেই। ধৃত মিঞাজান এ-ও জানান যে, খুদে নিজের হাতেই মাটি কেনার জন্য অগ্রিম টাকা নিয়েছিলেন।
আরাবুল ইসলামের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
চলতি মাসেরই ১৮ তারিখ মাটি কেনা নিয়ে গোলমালের জেরে ভাঙড়ের কাশীপুরে আজিজুল বৈদ্যকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। সেই খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের ভাই আজিজুল ইসলাম ওরফে খুদের। এসএসকেএমে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সন্ধ্যায় সেখানেই মৃত্যু হয় আজিজুলের। তবে তাঁর ভাই খুনের ঘটনায় যুক্ত নন বলে তখনই জানিয়ে দিয়েছেন আরাবুল ইসলাম।
মাটি কেনাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। অভিযোগ, মাটি কেনার জন্য আজিজুল ও তাঁর ভাই এসারাত সাড়ে চার লক্ষ টাকা অগ্রিম দেয় মিঞাঁজান হালদার ও মোমিন মোল্লাকে। খুদে ছিলেন তার মধ্যস্থতাকারী। কিন্তু ন`মাস হয়ে গেলেও টাকা ও মাটি কিছুই ফেরত পাচ্ছিলেন না আজিজুলরা।
শনিবার, অর্থাৎ ১৮ অগাস্ট টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে ডেকে পাঠানো হয় আজিজুল ও তাঁর ভাইকে। এরপরই আজিজুলকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। মধ্যস্থতাকারী থাকার কারণে বারবার খুদের কাছে গেলেও কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।
সেইদিনই কাশীপুর থানা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়। ভাইকে বাঁচানোর জন্য প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ও তার বাহিনী কাশীপুর থানায় ঢুকে বসে পড়ে বলে অভিযোগ। পুলিসকর্মীরাও ভয়ে কোনও কাজ করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে, আজিজুলের বাড়ির লোকেরাও ভয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে পারছিলেন না। অবশেষে ২৪ ঘণ্টার খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর আরাবুল ও তার বাহিনী থানা ছেড়ে চলে গেলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন ওই থানার কর্মীরা ও পুলিসের শীর্ষ কর্তারা।