খুনের ঘটনায় নাম জড়াল আরাবুলের ভাই খুদের

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙরের স্বরূপনগরের বাসিন্দা আজিজুল বৈদ্যকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। সেই খুনের ঘটনায় নাম জড়াল তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের ভাই আজিজুল ইসলাম ওরফে খুদের। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় আজিজুল বৈদ্যকে। পরে এসএসকেএমে আনা হয় তাঁকে। সন্ধ্যায় সেখানেই মৃত্যু হয় আজিজুলের। তবে তাঁর ভাই খুনের ঘটনায় যুক্ত নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন আরাবুল ইসলাম।

Updated By: Aug 18, 2012, 11:40 PM IST

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙরের স্বরূপনগরের বাসিন্দা আজিজুল বৈদ্যকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। সেই খুনের ঘটনায় নাম জড়াল তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের ভাই আজিজুল ইসলাম ওরফে খুদের। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় আজিজুল বৈদ্যকে। পরে এসএসকেএমে আনা হয় তাঁকে। সন্ধ্যায় সেখানেই মৃত্যু হয় আজিজুলের। তবে তাঁর ভাই খুনের ঘটনায় যুক্ত নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন আরাবুল ইসলাম।
মাটি কেনাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। অভিযোগ, মাটি কেনার জন্য আজিজুল ও তাঁর ভাই এসারাত সাড়ে চার লক্ষ টাকা অগ্রিম দেয় মিঞাঁজান মোল্লা ও মোমিন মোল্লাকে। খুদে ছিল তার মধ্যস্থতাকারী। খুদের বাড়িতেই এই লেন দেন হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ন`মাস হয়ে গেলেও টাকা ও মাটি কিছুই ফেরত পাচ্ছিলেন না আজিজুলরা। শনিবার টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে ডেকে পাঠানো হয় আজিজুল ও তার ভাইকে। এরপরই আজিজুলকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। মধ্যস্থতাকারী থাকার কারণে বারবার খুদের কাছে গেলেও কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।
এরপরই কাশীপুর থানা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়। ভাইকে বাঁচানোর জন্য প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ও তার বাহিনী কাশীপুর থানায় ঢুকে বসে পড়ে বলে অভিযোগ। পুলিসকর্মীরাও ভয়ে কোনও কাজ করতে পারছিলেন না। অন্যদিকে, আজিজুলের বাড়ির লোকেরাও ভয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে পারছিলেন না। রাজ্যের পুলিস প্রশাসনের কাছে এক চরম অস্বস্তিকর ঘটনার স্বাক্ষী রইল কাশীপুর থানা। অবশেষে ২৪ ঘণ্টার খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর আরাবুল ও তার বাহিনী থানা ছেড়ে চলে গেলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন ওই থানার কর্মীরা ও পুলিসের শীর্ষ কর্তারা। 
খুদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে আজিজুলের পরিবারের সদস্যেরা।

.