মোর্চার জয়কে প্রহসন বললেন অশোক ভট্টাচার্য
গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রশন(জিটিএ)-র নির্বাচনে ৪৫টি আসনের সবক`টিতেই জয়ী হল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। আগেই ২৮টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল বিমল গুরুংয়ের দল। ফলে ক্ষমতা দখল নিশ্চিতই ছিল। বৃহস্পতিবার বাকি ১৭টি আসনের ভোট গণনা হয়। প্রত্যেকটি আসনেই জয়ী হয়েছেন মোর্চা প্রার্থীরা।
গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রশন(জিটিএ)-র নির্বাচনে ৪৫টি আসনের সবক'টিতেই জয়ী হল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। আগেই ২৮টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল বিমল গুরুংয়ের দল। ফলে ক্ষমতা দখল নিশ্চিতই ছিল। বৃহস্পতিবার বাকি ১৭টি আসনের ভোট গণনা হয়। প্রত্যেকটি আসনেই জয়ী হয়েছেন মোর্চা প্রার্থীরা। তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিটিএ নির্বাচনে মোর্চার জয়কে গুরুত্ব দিতে নারাজ সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। যেভাবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়েছে তাঁতে নির্বাচনকে প্রহসন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
জিটিএ-তে মোর্চার জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং, সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরির মতো শীর্ষ নেতারও। পাহাড়ে নির্বাচনের পরিবেশ নেই, এই অভিযোগ তুলে আগেই সব আসন থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছিল সিপিআইএম। সন্ত্রাসের অভিযোগ ভোট বয়কট করে জিএনএলএফ, এবিজিএল ও সিপিআরএম। ১৭টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিলেও ভোটগ্রহণের আগেই প্রার্থী প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর গত ২৯ জুলাই শুধুমাত্র নিয়মরক্ষার ভোটগ্রহণ হয়। মোট ৭৫ শতাংশ ভোট পড়ে নির্বাচনে। মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছার জন্যই এত দ্রুত পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। জিটিএ নির্বাচনে পয়তাল্লিসটি আসনে জয়ের জন্য পাহাড়বাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। বিমল গুরুং-এর নেতৃ্ত্বে পাহাড়ে উন্নয়নের কর্মসূচি জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুধুমাত্র কালিম্পং-এর ৪১ নম্বর আসনে মোর্চা থেকে বেরিয়ে আসা সঞ্চবে সুব্বার দিকে সকলের নজর ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখানেও জয়ী হয়েছে মোর্চা। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন জানিয়েছেন, আগামী ৪ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের উপস্থিতিতে দার্জিলিং ম্যালে অনুষ্ঠিত হবে নবনির্বাচিত জিটিএ সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। যদিও ইতিমধ্যেই জিটিএ গঠনের সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দেয়র করেছেন জিএনএলএফ প্রধান সুবাস ঘিসিং।