সিপিআইএম কর্মীদের উপর হামলা
সিপিআইএম কর্মীদের মারধরের ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির গোঘাটে। অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সিপিআইএম কর্মীদের মারধরের ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির গোঘাটে। অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের বিরুদ্ধে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খানাকুলের ঘোষপুর এলাকাতেও এক সিপিআইএম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, প্রায় চারদিন নিখোঁজ থাকার পর আজ বাঁকুড়ার সোনামুখীতে সিপিআইএম কর্মী হপন মুর্মুর দেহ উদ্ধার হয়েছে।
হুগলির গোঘাটের সামন্তখণ্ড এলাকায় তিন সিপিআইএম কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্ধেয় অসুস্থ মেয়ের জন্য ওষুধ কিনে ফিরছিলেন পিরু সোরেন। সঙ্গে ছিলেন কাশীনাথ সোরেন। সেসময় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক তাঁদের ওপর লাঠি, লোহার রড সহ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনেই এখন আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। এই হাসপাতালেই চিকিত্সা চলছে মুকুল সোরেনেরও। সিপিআইএম সমর্থক তিনি। পিরু ও কাশীনাথ সোরেনকে মার খেতে দেখে তাঁদের বাঁচাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন মুকুলদেবী। অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থকরা তাঁকেও বেধড়ক মারধর করে। একই ঘটনা ঘটেছে খানাকুলের ঘোষপাড়াতেও। এখানে আক্রান্ত গৌর ধন নামে এক সিপিআইএম কর্মী। অন্যদিকে, বাঁকুড়ার সোনামুখীতে নিখোঁজ এক সিপিআইএম কর্মীর বিকৃত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে শনিবার। অষ্টমীর দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন হপন মুর্মু নামে ওই সিপিআইএম কর্মী। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ খুন করা হয়েছে ওই সিপিআইএম কর্মীকে। তবে পুলিস এখনও মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি।