দেশি বাজারে বিদেশি কক, হারিয়ে যাচ্ছে উলুবেড়িয়ার শাটল কক শিল্প
ইতিহাস, আজ মুছে যাওয়ার পথে। বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যাচ্ছে উলুবেড়িয়ার শাটল কক শিল্প। অথচ একসময় এই শিল্পের জন্যই গোটা দেশ একডাকে চিনত উলুবেড়িয়াকে। আজ সেসব অতীত। বিদেশি শাটল ককের দাপটে ধুঁকছে এই শিল্প। আগে যেখানে প্রায় পাঁচশো কারখানা রমরমিয়ে চলত, তার মধ্যে এখন চালু সাকুল্যে চার-পাঁচটি।
ওয়েব ডেস্ক: ইতিহাস, আজ মুছে যাওয়ার পথে। বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যাচ্ছে উলুবেড়িয়ার শাটল কক শিল্প। অথচ একসময় এই শিল্পের জন্যই গোটা দেশ একডাকে চিনত উলুবেড়িয়াকে। আজ সেসব অতীত। বিদেশি শাটল ককের দাপটে ধুঁকছে এই শিল্প। আগে যেখানে প্রায় পাঁচশো কারখানা রমরমিয়ে চলত, তার মধ্যে এখন চালু সাকুল্যে চার-পাঁচটি।
এই শিল্পের শুরুটা জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে। ইংরেজ সেপাইদের ব্যাডমিন্টন খেলা দেখেই তাদের শাটল ককের সাপ্লাই দিতে শুরু করেন জ্ঞান বসু। সমস্তটাই নিজের মাথা খাটিয়ে। হাঁসের পালক, বোতলের ছিপি, আঠার সাহায্যে আটকে তৈরি হত তখনকার কক।
সেই শুরু। এরপর থেকে শাটল কক বলতেই, নাম আসত উলুবেড়িয়ার।
অন্ধকারে তলিয়ে গেছে উলুবেড়িয়ার এই শিল্প। দেশি বাজারের দখল নিয়েছে বিদেশি কক। এ অঞ্চলে এই হস্ত শিল্পই রুটিরুজি ছিল প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষের। সেই সংখ্যাটা নেমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজারে।
যন্ত্রে তৈরি বিদেশি ককের সামনে হাতে তৈরি কক। অসম এই প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে সবার আগে তাদের দরকার, কক তৈরির ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ। সেইসঙ্গে তার প্রশিক্ষণ। এবং অতি অবশ্যই আরও উন্নত মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি।এতকিছুর জন্য চাই সরকারি উদ্যোগ। জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের আশঙ্কা এখনই নজর না দেওয়া হলে, অদূর ভবিষ্যতে আর কোনও চিহ্নই থাকবে না এই শিল্পের। মুছে যাবে উলুবেড়িয়ার এই সোনালী অধ্যায়।