রক্ষকই ভক্ষক! রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কে লক্ষাধিক টাকার জালিয়াতি
সাতদিনে প্রায় দশ লক্ষ টাকার জালিয়াতি। প্রতারিত তিন গ্রাহক। চিটফান্ড নয়, এই কেলেঙ্কারি এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের। ইউবিআইয়ের মগরার ব্রাঞ্চে, তিন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ভুয়ো চেক দিয়ে তোলা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। গাফিলতির কথা স্বীকার করেছেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার।
সাতদিনে প্রায় দশ লক্ষ টাকার জালিয়াতি। প্রতারিত তিন গ্রাহক। চিটফান্ড নয়, এই কেলেঙ্কারি এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের। ইউবিআইয়ের মগরার ব্রাঞ্চে, তিন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ভুয়ো চেক দিয়ে তোলা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। গাফিলতির কথা স্বীকার করেছেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার।
প্রথম ব্যাক্তি কালোবরণ নাথের অ্যাকাউন্ট থেকে ভুয়ো চেক দিয়ে তোলা ১লক্ষ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা। ১০ মে চেক ইস্যু করে বড়রকম টাকা আত্মসাত্ করা হয়। ঠিক তিন দিন পরে আর এক গ্রাহক একইভাবে প্রতারিত হন। চণ্ডীচরণ বাবুর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা তোলা হয়। মজার বিষয়, ঠিক তার তিন দিন পর প্রতারিত হন আরও এক গ্রাহক, ব্যবসায়ী স্বপন দাস। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা হল প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা।
তিনটি ঘটনাতেই যে চেক কাটা হয়েছে, সেই নম্বরের আসল চেক রয়েছে গ্রাহকদের চেকবুকেই। এই সাতদিন ছুটিতে ছিলেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। ব্যাঙ্কের দায়িত্বে ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজার। সাধারণত পঞ্চাশ হাজারের বেশি টাকার লেনদেন করতে হলে প্যান কার্ডের ফটোকপি দিতে হয়। বেশি অঙ্কের টাকা তুলতে গেলে ক্রশ চেক করার একাধিক বিধি প্রচলিত রয়েছে। এক্ষেত্রে সেগুলির একটিও মানা হয়নি।
প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ঘটনায় জড়িত ব্যাঙ্ক কর্মীদেরই একাংশ? পৃথকভাবে তিনজন গ্রাহক ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারেন তাঁদের সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ভুয়ো চেকের মাধ্যমে টাকা আত্মস্যাত্ করা হয়েছে। টাকা যে গেছে মানছেন ম্যানেজার। কিন্তু একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে কীভাবে এরকম মারাত্মক ঘটনা ঘটল? কেন ঘটনার আঁচ পেলেন না কর্মচারী, ম্যানেজার এমনকী গ্রাহকরাও? তবে কি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যাঙ্ক কর্মচারীদেরই একাংশ? তদন্ত নেমে এমনটাই কিন্তু সন্দেহ মগরাহাট থানার পুলিসের।