১০০ দিনের কাজে এবারও পিছিয়ে বাঁকুড়া
একশো দিনের কাজের প্রকল্পে এবারও ধুঁকছে বাঁকুড়া। গত ১০ মাসে পরিবার পিছু কাজ মিলেছে গড়ে মাত্র ২৫ দিন। প্রকল্পের কাজ নিয়ে জেলায় নানা অভিযোগ রয়েছে। একদিকে কাজ না পাওয়া। অন্যদিকে কাজ করিয়ে কম মজুরি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
একশো দিনের কাজের প্রকল্পে এবারও ধুঁকছে বাঁকুড়া। গত ১০ মাসে পরিবার পিছু কাজ মিলেছে গড়ে মাত্র ২৫ দিন। প্রকল্পের কাজ নিয়ে জেলায় নানা অভিযোগ রয়েছে। একদিকে কাজ না পাওয়া। অন্যদিকে কাজ করিয়ে কম মজুরি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
একশো দিনের কাজের প্রকল্পে গত বছরও বাঁকুড়ার অবস্থা ছিল তথৈবচ। পরিবার পিছু গড়ে কাজ মিলেছিল ৫২ দিন করে। কিন্তু এবার তা এক ধাক্কায় অর্ধেকেরও কমে গেল। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জবকার্ডধারী পরিবারগুলি এখনও পর্যন্ত গড়ে পঁচিশ দিন করে কাজ পেয়েছে।
জেলায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প রূপায়ণে এই দুর্দশা অজানা নয় মুখ্যমন্ত্রীরও। তার জন্য মাসখানেক আগে বাঁকুড়া সফরে গিয়ে, জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও ১০০ দিনের প্রকল্পে দুরবস্থার ছবিটা বদলায়নি।
শুধু কাজ না পাওয়াই নয়। কাজ করিয়ে ঠিকমতো মজুরি না দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। জবকার্ডধারীদের অভিযোগ, তাঁদের নির্ধারিত দৈনিক পারিশ্রমিক একশো একান্ন টাকা মিলছে না। কাজ কম হয়েছে, এই অজুহাত দেখিয়ে কখনও একশো টাকা আবার কখনও একশো দশ টাকা ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন অবশ্য ব্যর্থতার কথা মানতে নারাজ। তাদের একাংশের দাবি, চলতি আর্থিক বছর শেষ হতে এখনও দুমাস বাকি রয়েছে। ওই দুমাস ব্যাপক হারে কাজ করিয়ে ভাল ফলের আশা করছেন তাঁরা। কিন্তু সেটা আদৌ সম্ভব কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।