বেঙ্গল লিডস-এর দ্বিতীয় দিন হট্টমেলায় জমজমাট
বিনিয়োগের লক্ষ্যে বেঙ্গল লিডস টু। শিল্পকে চাঙ্গা করতে যে সম্মেলন, তার প্রথম দিনে দেখা মেলেনি দেশের প্রথম সারির কোনও শিল্পপতির। আর দ্বিতীয় দিনে সেই শিল্প সম্মেলনই পরিণত হল হট্টমেলায়।
বিনিয়োগের লক্ষ্যে বেঙ্গল লিডস টু। শিল্পকে চাঙ্গা করতে যে সম্মেলন, তার প্রথম দিনে দেখা মেলেনি দেশের প্রথম সারির কোনও শিল্পপতির। আর দ্বিতীয় দিনে সেই শিল্প সম্মেলনই পরিণত হল হট্টমেলায়।
প্রথমদিন যদি দিশাহীনতা থাকে দ্বিতীয় দিনে তা হট্টমেলা। শিল্পে বিনিয়োগ টানতে জমকালো আয়োজন। সারি সারি স্টলের ভিড়।
শিল্পমন্ত্রী বলছেন, একশো করে লোক আসছেন। কিন্তু কারা সেই লোক? দেখা যাচ্ছে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী। শিল্প সম্মেলেন বিনিয়োগ কতটা আসবে সে জবাব তো মিলবে ভবিষ্যতে। কিন্তু বিজনেস স্টেশনগুলিতে কোট প্যান্টের ভিড়ের থেকে স্কুলের কৌতুহলি মুখই যে বেশি।
বিনিয়োগে দেশের শিল্পমানচিত্রের রাজ্যের জোরালো অবস্থান বোঝাতে শিল্প সম্মেলনের। কিন্তু সভার দ্বিতীয় দিনেই যেন বেলাইন বেঙ্গল লিডসের চাকা। বিনিয়োগে রাজ্য পিছিয়ে নেই বোঝাতে শিল্প সম্মেলন। কিন্তু দ্বিতীয় দিয়ে আর পাঁচটা মেলার রূপ নিল শিল্প সম্মেলন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে গরহাজির প্রথম শ্রেণির শিল্পপতিরা। বেঙ্গল লিডস সম্মেলনে জাতীয়স্তরের পাঁচশোজন শিল্পপতি ও শিল্পসংস্থার কর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যদিও তারমধ্যে অধিকাংশ প্রতিনিধিই হাজির হতে পারেননি বেঙ্গল লিডসে। যাঁরা হাজির হয়েছেন তাঁদের অধিকাংশই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার প্রতিনিধি। বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের সংখ্যা খুবই কম। তবে শিল্প সম্মেলনের সামনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন দুটি। রাজ্য সরকারের জমি নীতি এবং বেড়ে চলা রাজনৈতিক হিংসার জেরে রাজ্যের সামগ্রিক ভাবমূর্তি।
গতকাল হলদিয়ায় হেলিপ্যাড ময়দানে শুরু হল বেঙ্গল লিডস। শিল্প সম্মেলনে প্রভাব ফেলল রাজনীতিও। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় তোপ দাগেন বিরোধী ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। সম্মেলনে শিল্পপতিদের উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য শিল্পপতিদের ধন্যবাদও জানান তিনি। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, শিল্প মহলে ভালই সাড়া জাগিয়েছে বেঙ্গল লিডস।