দশ কোটির মাটি উৎসবেও আলো পৌঁছচ্ছে না চাষির ঘরে

দশ কোটি টাকা খরচ করে চলছে মাটি উত্‍সব। অথচ যাঁদের জন্য এই উত্‍সব তাঁরাই রয়েছেন অন্ধকারে। চরম  সঙ্কটে দিন কাটছে বাঁকুড়ার মুবারকপুর এলাকার কৃষকদের।  সরকারি উদাসীনতায় দু`বছর ধরে বন্ধ এলাকার একমাত্র সেচ প্রকল্প। স্তব্ধ প্রায় কয়েকশ বিঘা জমির চাষবাস।

Updated By: Feb 13, 2013, 09:08 PM IST

দশ কোটি টাকা খরচ করে চলছে মাটি উত্‍সব। অথচ যাঁদের জন্য এই উত্‍সব তাঁরাই রয়েছেন অন্ধকারে। চরম  সঙ্কটে দিন কাটছে বাঁকুড়ার মুবারকপুর এলাকার কৃষকদের।  সরকারি উদাসীনতায় দু`বছর ধরে বন্ধ এলাকার একমাত্র সেচ প্রকল্প। স্তব্ধ প্রায় কয়েকশ বিঘা জমির চাষবাস।
মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, "মাটির কাছাকাছি মানুষদের জন্যই মাটি উত্‍সব।" কিন্তু সত্যিই কি তাই? গত বছরের হিসাবও বলছে রাজ্যে কৃষকের অবস্থা কার্যত বিপন্ন। মুখ্যমন্ত্রীর উল্টো কথাই বলছে বাঁকুড়ার মুবারকপুর গ্রাম। সরকারি উদাসীনতায় বন্ধ বাঁকুড়ার মুবারকপুর এলাকার কৃষকদের চাষবাস। দু`বছর ধরে বন্ধ এলাকার একমাত্র সেচ প্রকল্প। জলের অভাবে কয়েকশো জমিতে চাষ হচ্ছে না। 
 
প্রায় আড়াইশো বিঘে জমিতে সেচের জন্য গন্ধেশ্বরী নদীকে ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল এই সেচ প্রকল্প। এর ওপর নির্ভর করে বছরে প্রায় তিনবার ফসল ফলাতেন এলাকার চাষীরা। কিন্তু বছর দুয়েক আগে হঠাত্‍ই বিদ্যুত্‍ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয় এই সেচ প্রকল্পের। তারপর থেকেই বন্ধ চাষবাস। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন  বহু কৃষক।  
মাটি উত্‍‍সবের রোশনাই থেকে এভাবেই অনেক দূরে অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছেন জেলার বহু কৃষক। উত্‍‍সব আনন্দ তো দুরঅস্ত, দুবেলা দুমুঠো পেটের ভাত জোগাড়ই এখন সবথেকে বড় লড়াই এই কৃষকদের।

.