জোড়া নিম্নচাপে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, কলকাতায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস
জোড়া নিম্নচাপের জেরে বর্ষণ। রাজস্থান এবং উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের জেরে আগামী এক সপ্তাহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দুই মেদিনীপুর, বর্ধমান, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, এই চার জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি হবে। অন্যদিকে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তার ওপর নিম্নচাপ যেভাবে শক্তি বাড়াচ্ছে, তাতে উদ্বিগ্ন আবহাওয়া দফতর।
ওয়েব ডেস্ক: জোড়া নিম্নচাপের জেরে বর্ষণ। রাজস্থান এবং উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের জেরে আগামী এক সপ্তাহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দুই মেদিনীপুর, বর্ধমান, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, এই চার জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি হবে। অন্যদিকে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তার ওপর নিম্নচাপ যেভাবে শক্তি বাড়াচ্ছে, তাতে উদ্বিগ্ন আবহাওয়া দফতর।
লাগাতার বৃষ্টিতে জলে ভাসছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা। সুবর্ণরেখা নদীর জলে প্লাবিত জেলার কেশিয়ারি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ১৫টি গ্রাম। ইতিমধ্যেই দুর্গতের সংখ্যা দেড় ছাড়িয়েছে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে প্রশাসন চিন্তিত। আজ এলাকা পরিদর্শনে যান প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা।
একটানা প্রবল বর্ষণের জেরে পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। তমলুক, কোলাঘাট,পাঁশকুড়া, মেচেদা, মহিষাদল, নন্দকুমার, ময়না সহ জেলার বিস্তীর্ণ অংশ জলে ভাসছে। জলের তলায় চলে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি।
হিংলো ব্যারেজ জল ছাড়ায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বীরভূমের খয়রাশোলের বিস্তীর্ণ এলাকা। গতরাতে সতেরো হাজার কিউসেক জল ছাড়ায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে হিংলো নদী। ষাট নম্বর জাতীয় সড়কের একটা বড় অংশ জলের তলায় চলে গিয়েছে। আটকে পড়েছে বহু পণ্যবাহী গাড়ি। তবে, দুবারাজপুর, লাভপুর, নানুর, ইলামবাজার, মহম্মদবাজার, নলহাটির বন্যা পরিস্থিতির নতুন করে অবনতি হয়নি। তবে, দুবরাজপুরের বিডিওকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কারণ, কয়েকদিন আগেই ভেঙে গিয়েছিল কুঁয়ে নদীর বাঁধ।