প্রেমিক খুনে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিল মেয়ে
হলদিয়ায় প্রেমিক খুনের ঘটনায় বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে সাক্ষী হল মেয়ে। সৌমেন মাইতি হত্যায় আজ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিল কিশোরী। খুনে অভিযুক্ত কিশোরীর বাবা ও মাকে পাঁচদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ওয়েব ডেস্ক: হলদিয়ায় প্রেমিক খুনের ঘটনায় বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে সাক্ষী হল মেয়ে। সৌমেন মাইতি হত্যায় আজ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিল কিশোরী। খুনে অভিযুক্ত কিশোরীর বাবা ও মাকে পাঁচদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পরিবারের প্রবল আপত্তি। তা সত্ত্বেও সহপাঠীকে ভুলে গিয়ে গৃহশিক্ষককে বিয়ে করতে রাজি হয়নি মেয়েটি। বার বার হুমকি, শাসানির ফলে আন্দাজও করেছিল ভয়ানক কিছু ঘটতে যাচ্ছে। ফোন করে পুলিসকেও জানিয়েছিল আশঙ্কার কথা।
হলদিয়ায় ছাত্র সৌমেন মাইতি খুনের ঘটনায় তাই প্রথমেই নজর পরে শঙ্কর দলুইয়ের পরিবারের দিকে। মেয়ের প্রেমিককে খুনের অভিযোগে রবিবার গ্রেফতার করা হয় শঙ্কর দলুই, তার স্ত্রী এবং নাবালক ছেলেকে। শঙ্কর ও তার স্ত্রীকে পাঁচদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নাবালক অভিযুক্তের ঠাঁই হয়েছে হোমে। বিপাকে পড়ে খুনের পুরো দায়টাই শঙ্কর চাপিয়ে দিয়েছে স্ত্রীর ঘাড়ে।
অভিযুক্ত শঙ্কর দলুই স্বীকার করেছেন, "আমি ওকে পৃথিবীতে রাখব না। আমাকে জেল খাটতে হয় খাটব। আমি বারণ করেছিলাম আমার মিসেসকে।...আমার কথা শোনেনি...ওকে গলা কেটে দিয়েছে।"
আদালতে জবানবন্দি কিশোরীর
খুনের মামলায় বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে প্রধান সাক্ষী এই কিশোরীই। সোমবার হলদিয়া ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেয় সে।
পরিবারের সদস্যরা জেলে। আত্মীয়রাও তাকে রাখতে রাজি হয়নি। তাই বারো ক্লাসের এই ছাত্রীর ঠিকানাও আপাতত সরকারি হোম।