আন্দোলনের প্রথম দিনেই দেগঙ্গায় সরকারকে তুলোধনা বুদ্ধদেবের
পুজোর পর থেকে সরকারের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলনের ঘোষণা করেছিল সিপিআইএম। সেই আন্দোলনের প্রথম দিনই, দেগঙ্গার জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তুলোধনা করলেন বুদ্ধেদেব ভট্টাচার্য।
পুজোর পর থেকে সরকারের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলনের ঘোষণা করেছিল সিপিআইএম। সেই আন্দোলনের প্রথম দিনই, দেগঙ্গার জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তুলোধনা করলেন বুদ্ধেদেব ভট্টাচার্য।
দেগঙ্গার ফুটবল মাঠ ছাপিয়ে লোক তখন রাস্তায়। আশেপাশে বাড়ির ছাদেও মানুষের ঢল। অধীর অপেক্ষা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্য। কিন্তু পৌনে পাঁচটা বেজে গেলেও তাঁর দেখা নেই। চারটে পঞ্চাশে জনসভায় এলেন। এসেই তোপ দাগলেন সরকারের বিরুদ্ধে। বললেন, গোটা রাজ্যে রাস্তা বলে কিছু নেই। তাই দেরি। রাস্তা দিয়ে শুরু। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে তুলোধনা প্রায় সব ইস্যুতেই। বললেন গোটা সরকারটাই মেতে রয়েছে উত্সব আনন্দে। তারপর এলেন কলকারখানা ইস্যুতে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অভিযোগ, নতুন শিল্প তো দূরস্থান, তাঁর আমলে যাঁরা এসেছিল, তোলা আদায়ের ঠেলায় তাঁরাও চলে যাচ্ছেন।
সরব হলেন মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার নিয়েও। একই সুরে সরকারকে তোপ দেগেছেন আরও এক সিপিআইএম নেতা গৌতম দেবও। তাঁর অভিযোগ, নতুন সরকার তৈরি হওয়ার আড়াই বছর পর পঞ্চায়েত নির্বাচন। হৈ হৈ করে জেতা উচিত ছিল তৃণমূলের। তার বদলে বন্দুক হাতে নিয়ে জিততে হয়েছে। সিপিআইএম সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু করল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে। এই জেলায় পঞ্চাশ দিনে চল্লিসটি জনসভা করবেন গৌতম দেবরা। উপস্থিত থাকবেন দলের শীর্ষ নেতাদের প্রায় সবাই। বক্তা হিসেবে থাকবেন প্রকাশ কারাট, মানিক সরকার, সীতারাম ইয়েচুরি, বিমান বসু ও সূর্যকান্ত মিশ্র।