রেজ্জাক মোল্লাকে দেখে গেলেন বুদ্ধদেব
অসুস্থ রেজ্জাক মোল্লাকে দেখতে আজ হাসপাতালে গেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বেলা ১টা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন সুজন চক্রবর্তী। মেরুদণ্ড গুরুতর চোট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তিনি।
অসুস্থ রেজ্জাক মোল্লাকে দেখতে আজ হাসপাতালে গেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বেলা ১টা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন সুজন চক্রবর্তী। মেরুদণ্ড গুরুতর চোট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তিনি।
রেজ্জাক মোল্লার এমআরআই রিপোর্টে তাঁর মেরুদণ্ডে চিড় ধরা পড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রেজ্জাক মোল্লার মেরুদণ্ডের এল-ওয়ান হাড়ে চিড় ধরেছে। হাড়টি বেঁকে গিয়েছে। মেরুদণ্ডের এল-টু এল-থ্রি, এল-থ্রি এল-ফোর, এল-ফোর এল-ফাইভ এবং এল ফাইভ-এস ওয়ান হাড়ের মধ্যবর্তী গ্রন্থিও নড়ে গিয়েছে। জল জমেছে কোমরের হাড়ের একাংশে। এমআরআই রিপোর্ট অনুযায়ী অ্যাকিউট ট্রমাটিক ফ্র্যাকচার বা তীব্র আঘাতের কারণেই সিপিআইএম বিধায়কের মেরুদণ্ডে চিড় ধরেছে।
চোয়ালেও আঘাত আছে কিনা জানতে সিটি স্ক্যান করার কথাও ভাবছেন চিকিত্সকরা। প্রশ্নটা তাই উঠছে। সত্তরোর্ধ সিপিআইএম বিধায়ক প্রথম দিন থেকেই বারবার বলছিলেন, তাঁর কোমরে খুব ব্যথা। তবু শুধু এক্স রে করেই কেন তাঁকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? সেই নিয়েই সংশয় বাড়ছে। কারণ রেজ্জাক মোল্লার এমআরআই রিপোর্ট দিতেও টালবাহানা হয়। সোমবারই রেজ্জাক মোল্লাকে ছেড়ে দেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক প্রভাবের কথা বলেছিলেন সিপিআইএম নেতারা। তবে কি বাম নেতাদের অভিযোগই সত্যি ? রাজনৈতিক চাপেই কি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাত তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিতে চাইছিল মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পাওয়া সত্তরোর্ধ রেজ্জাক মোল্লাকে?
অন্যদিকে এদিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন আরাবুল ইসলাম। মঙ্গলবার বামনঘাটায় গোলমালের পর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। যদিও তাঁর শরীরের আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। বুধবার রাতেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি জানান, তাঁর বুকে ব্যথা রয়েছে। এরপর তাঁর ইসিজি করা হয়। পরীক্ষায় কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি। তারপরেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হাসপাতালের তরফে।