বর্ধমান কাণ্ড: জাল ছড়িয়ে উত্তরপূর্বাঞ্চলেও, হাসনাবাদ থেকে গ্রেফতার ২ জামাত সদস্য

Updated By: Oct 9, 2014, 09:17 AM IST
বর্ধমান কাণ্ড: জাল ছড়িয়ে উত্তরপূর্বাঞ্চলেও, হাসনাবাদ থেকে গ্রেফতার ২ জামাত সদস্য

বর্ধমান কাণ্ডের জল গড়াল দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলেও। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, খাগড়াগড় থেকে ধৃত রাজিয়া ও আলিমার সঙ্গেই  প্রশিক্ষণ  নিয়েছিল অসমের কয়েকজন জঙ্গি। এমনকী বর্ধমান থেকে বিস্ফোরকও যেত অসমে। জেরায় রাজিয়া ও আলিমা এই তথ্য জানিয়েছে বলেই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

এদিকে বর্ধমান কাণ্ডের জেরে রাজ্যজুড়ে গোয়েন্দা তত্‍পরার মাঝেই হাসনাবাদ থেকে দুই বাংলাদেশি জামাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। নদিয়ার করিমপুরের অখ্যাত গ্রাম বারবাকপুর। বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডের জেরেই এই গ্রাম এখন খবরের শিরোনামে। খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণে ধৃত রাজিয়ার সঙ্গে বিয়ের আগে এই গ্রামেই প্রথম আস্তানা গেড়েছিল শাকিল গাজি। এরপর বিয়ে করে একসঙ্গে গ্রাম ছেড়েছিল শাকিল আর রাজিয়া।

বর্ধমানমান বিস্ফোরণের জের পাল্টে দিয়েছে কালনার খড়দও পাড়া এলাকাকেও। এই এলাকার বাসিন্দা বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া হাসেম মোল্লা। বিস্ফোরণের ফলে এই গ্রামেও পুলিসের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। করিমপুর বা কালনার অখ্যাত গ্রামের সঙ্গেই বর্ধমান বিস্ফোরণের জল গড়িয়েছে উত্তরপূর্বের রাজ্য অসমেও। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, জেরায় সেই যোগাযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ধৃত  দুই মহিলা রাজিয়া ও আলিমা। ওই দুজনের সঙ্গেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিল অসমের বেশ কয়েকজন জঙ্গি। খাগড়াগড়ে তৈরি বিস্ফোরকও পাঠানো হয়েছে অসমে। জেরায় রাজিয়া ও আলিমা এই সব তথ্য জানিয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের।

বর্ধমান কাণ্ডের সতর্কতার মাঝেই এরাজ্যে গ্রেফতার হয়েছে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জামাতে ইসলামির দুই সক্রিয় সদস্য। মঙ্গলবার হাসনাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ছ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। ধৃত দুজনকে সাতদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত বর্ধমান কাণ্ডের সঙ্গে এদের যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

 

.