অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে শমিতা মান্নার অপসারণ নিয়ে টানাপোড়েন তুঙ্গে

Updated By: Oct 8, 2014, 11:47 PM IST

অপসারণের জন্য জেলা তৃণমূল নেতাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন সিধো কানহো বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপসারিত উপাচার্য শমিতা মান্না। আজ তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ তুলল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। আবার ওয়েবকুপারই একাংশ শমিতা মান্নার পাশে দাঁড়িয়েছেন। সব মিলিয়ে সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অপসারণ ঘিরে শাসকদলের অন্দরে টানাপোড়েন তুঙ্গে।  

মঙ্গলবার জেলা তৃণমূলের এক নেতাকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন সিধো কানহো বিরষা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপসারিত উপাচার্য শমিতা মান্না। বুধবার অপসারিত উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাল্টা অভিযোগ তুললেন ওয়েবকুপা জেলা নেতৃত্ব। শমিতা মান্নার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতিও। জেলা তৃণমূল নেতারা অপসারিত উপাচার্যকে কাঠগড়ায় তুললেও, শমিতা মান্নার পাশেই দাঁড়াচ্ছে শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার অপর একটি অংশ।

এসবের জেরে শমিতা মান্নার অপসারণ ঘিরে শাসকদলের অন্দরে টানাপোড়েন তুঙ্গে। দলীয় নেতাদের বাধ্য না হওয়াতেই তাঁকে সরতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন শমিতা মান্না। এমনকি শিক্ষামন্ত্রীও তাঁর পাশে দাঁড়াননি বলে অভিযোগ করেছিলেন সদ্য অপসারিত উপাচার্য। তাঁর জায়গায়  উপাচার্য পদে নিয়োগ করা হয় দীপকরঞ্জন মণ্ডলকে। শিক্ষামহলের একাংশের  মতে, দীপকবাবু শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। কয়েকমাসের মধ্যে ডিপিআই পদ থেকে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা। অবসরের আগে শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই পুরস্কার হিসাবে তাঁকে  সিধো কানহো বীরসা  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ করা হয়েছে,এমনই মত শিক্ষামহলের একাংশের ।

 

   

.