শান্তির উপনির্বাচনেও শাসক দলের কারচুপি
তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচন মোটের ওপর শান্তি হয়েছে। একথা মেনে নিয়ে, পঞ্চায়েত নির্বাচনও একই মডেলে করার দাবি জানালেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি না করলেও, বিমানবাবুর বক্তব্যে ইঙ্গিত ছিল সেরকমই। তিনি বলেন, রাজ্য প্রশাসন শাসক দলের তল্পিবাহক হয়ে কাজ করছে। একথা মাথায় রেখেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত।
তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচন মোটের ওপর শান্তি হয়েছে। একথা মেনে নিয়ে, পঞ্চায়েত নির্বাচনও একই মডেলে করার দাবি জানালেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি না করলেও, বিমানবাবুর বক্তব্যে ইঙ্গিত ছিল সেরকমই। তিনি বলেন, রাজ্য প্রশাসন শাসক দলের তল্পিবাহক হয়ে কাজ করছে। একথা মাথায় রেখেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত।
নির্বিঘ্নেই শেষ হল তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সৌজন্যে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া পাহারা। দিনের শেষে ভোটদানের হারও স্বাস্থ্যকর। উপনির্বাচনের জন্য তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে আজ মোতায়েন ছিল ছত্রিশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রশ্ন উঠছে, উপনির্বাচনেই যদি প্রায় সাড়ে তিন হাজার আধাসেনার প্রয়োজন হয়, তাহলে ছহাজার ছশোটি আসনের পঞ্চায়েত নির্বাচন সামাল দেওয়া হবে কীভাবে।
নলহাটি, রেজিনগর ও ইংরেজবাজার। রাজ্যের তিন উপনির্বাচন এবার মর্যাদার লড়াই। নির্বিঘ্নে ভোট মেটায় সাফল্য দাবি করতেই পারে রাজ্য প্রশাসন। বাস্তব তথ্য কিন্তু বলছে,
তিনটি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে ৩৬ কোম্পানি আধাসেনার কড়া পাহারায়।
ইংরেজবাজারে মোতায়েন ছিল ১১ কোম্পানি আধাসেনা।
রেজিনগরে মোতায়েন করা হয় ১৩ কোম্পানি আধাসেনা।
নলহাটিতে মোতায়েন করা হয় ১২ কোম্পানি আধাসেনা।
কোথাও কোথাও অবশ্য আধাসেনার চোখকে ফাঁকি দিয়েই চলেছে অনৈতিক কাজ। চব্বিশ ঘণ্টার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, ইংরেজবাজারের চিন্তামণি বালিকা বিদ্যালয়ে ১৫২ নম্বর বুথ চত্বরেই ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন তৃণমূল কর্মীরা।
নলহাটিতে ভোটারদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করে আটক হন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অশোক ঘোষ। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন বুঝলে সেখানে ফের ভোটগ্রহণ করানো হতে পারে।
তিনটি উপনির্বাচন নির্বিঘ্নে শেষ করতে জঙ্গলমহল থেকে কুড়ি কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী তুলে আনতে হয়েছে। কয়েক মাস পরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। কমিশন চাইলেও রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিরুদ্ধে। তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনের অভিজ্ঞতা কিন্তু প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া পঞ্চায়েত ভোটের বিপুল যজ্ঞ কি নির্বিঘ্নে শেষ করা সম্ভব?