আম চুরি করায় বেধড়ক মার খেয়ে হাসপাতালে শিশু
বছর ছ`য়ের রাজীবের অপরাধ ছিল, সে ও তার বন্ধুরা বাগান থেকে কয়েকটি আম চুরি করেছিল। আর এই অপরাধেই বেধড়ক মারধর করা হল একটি শিশুটিকে। শুধু তাই নয়, মারধরের পর গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আমবাগানে টেনে-হিঁচড়ে ঘোরানোও হয় তাকে।
বছর ছ`য়ের রাজীবের অপরাধ ছিল, সে ও তার বন্ধুরা বাগান থেকে কয়েকটি আম চুরি করেছিল। আর এই অপরাধেই বেধড়ক মারধর করা হল একটি শিশুটিকে। শুধু তাই নয়, মারধরের পর গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আমবাগানে টেনে-হিঁচড়ে ঘোরানোও হয় তাকে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার হজরতপুর এলাকায়।
গত সোমবার তপন থানার হজরতপুর এলাকার একটি আমবাগানে ঢুকেছিল রাজীব ও তার কয়েকজন বন্ধু। তারা সবাই মিলেই আম পাড়তে গাছে ওঠে। কিন্তু বাগান পাহারায় যারা ছিল তাঁদের নজরে পড়ে যায় বিষয়টি। অন্যরা পালাতে সক্ষম হলেও, রাজীব ধরা পড়ে যায়। আম চুরির শাস্তি হিসেবে হাত-পা বেঁধে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে প্রচণ্ড মারধর করা হয় রাজীবকে। এই শাস্তিও কম বলে মনে হওয়ায় এরপর ফাঁস লাগানো অবস্থাতেই রাজীবকে আমবাগানে টেনে-হিঁচড়ে ঘোরানো হয় বলে অভিযোগ।
রাজীবের বন্ধুরা এই ঘটনা দেখতে পেয়ে ছুটে গিয়ে তার বাড়িতে খবর দেয়। শিশুটির বাবা বাগান থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে ছোট্টো রাজীবকে। আপাতত গঙ্গারামপুর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ওই শিশু। গলায় দড়ি বেঁধে টানার ফলে তার কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। এই ঘটনায় আমবাগানের মালিক সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে শিশুর পরিবার। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিস।