ছুটিতে ডাক্তাররা, বাঁকুড়া মেডিক্যাল হাসপাতালে ৪ দিনে মৃত্যু ১৭টি শিশু
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেশিরভাগ ডাক্তার এখনও ছুটিতে। ফলে ভেঙে পড়েছে হাসপাতালের চিকিতসা ব্যবস্থা। চারদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৭টি শিশুর। এমনই দাবি রোগীর পরিবারের। শুধু বাঁকুড়াই নয়, শিশু মৃত্যু হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও। শিশু মৃত্যুর খবর পেয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল যান আবু হাসেম খান চৌধুরী। পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেশিরভাগ ডাক্তার এখনও ছুটিতে। ফলে ভেঙে পড়েছে হাসপাতালের চিকিতসা ব্যবস্থা। চারদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৭টি শিশুর। এমনই দাবি রোগীর পরিবারের। শুধু বাঁকুড়াই নয়, শিশু মৃত্যু হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও। শিশু মৃত্যুর খবর পেয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল যান আবু হাসেম খান চৌধুরী। পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি।
পুজোর ছুটি কাটিয়ে কাজে ফেরেননি বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধিকাংশ সিনিয়র ডাক্তার। ফলে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর ভর করেই হাসপাতালের চিকিত্সা চলছে। তারই মাশুল গুনছেন রোগীরা। হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলাতে নাজেহাল অবস্থা জুনিয়র ডাক্তারদের। ব্যাহত হচ্ছে চিকিত্সা পরিষেবা। শিশু ও প্রসূতি ওয়ার্ডের অবস্থা আরও খারাপ। গত কয়েকদিনে বেশকয়েকজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। চিকিত্সা না পেয়ে হাসপাতাল থেকে কেউ আবার রোগীদের অন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের সুপার চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ মানতে নারাজ। শিশু মৃত্যুর হার স্বাভাবিক বলেই দাবি করেছেন তিনি।
মালদা মেডিক্যাল কলেজেও বেশকয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে গত দুদিনে। বাঁকুড়ার মতো মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও চিকিত্সায় অবহেলার অভিযোগ মানতে চাননি। কর্তৃপক্ষের মতে, শিশুগুলিকে আনা হয়েছিল খুব খারাপ অবস্থায়। অপুষ্টিজনিত কারণ, কম ওজন, শ্বাসকষ্ট থাকায় তাদের শেষমেষ বাঁচানো যায়নি। শিশু মৃত্যুর খবর পেয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে যান আবু হাসেম খান চৌধুরী।