শিশু বিক্রির বীজ নিহীত শহরতলিতে
শিশু নিখোঁজ, শিশু পাচারের পর এবার শিশু বিক্রির ঘটনা। তাও আবার খোদ শহর কলকাতার হাসপাতালে। কিন্তু এর বীজ নিহীত রয়েছে রাজ্যের জেলা ও শহরতলির বিভিন্ন নার্সিংহোমগুলিতে। প্রশাসনের নজর এড়িয়েই কলকাতা লাগোয়া শহরতলির একাধিক নার্সিংহোমে রমরমিয়ে চলছে শিশু বিক্রির কারবার। টাকা দিলেই মিলবে পছন্দসই নবজাতক।
শিশু নিখোঁজ, শিশু পাচারের পর এবার শিশু বিক্রির ঘটনা। তাও আবার খোদ শহর কলকাতার হাসপাতালে। কিন্তু এর বীজ নিহীত রয়েছে রাজ্যের জেলা ও শহরতলির বিভিন্ন নার্সিংহোমগুলিতে। প্রশাসনের নজর এড়িয়েই কলকাতা লাগোয়া শহরতলির একাধিক নার্সিংহোমে রমরমিয়ে চলছে শিশু বিক্রির কারবার। টাকা দিলেই মিলবে পছন্দসই নবজাতক।
কলকাতা থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে চক্রের এজেন্টরা। চক্রে সামিল শহরের নামজাদা বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমের চিকিতসকেরাও। কমিশনের বিনিময়ে গোপনে চলছে শিশু বিক্রির বেআইনি কারবার। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে চিকিতসক চন্দ্রানী রায়ের বিরুদ্ধে। যদিও তাঁর দাবি, শিশুটিকে ভাল পরিবারে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তিনি রমজানের কাছে আমাদের রিপোর্টারদের নিয়ে গিয়েছিলেন। আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই জড়িত নন বলে দাবি করেছেন তিনি।
শিশু বিক্রির খবর ২৪ ঘন্টায় সম্প্রচারিত হওয়ার পরপরই উস্তির `সমাধান` নার্সিংহোমে পৌঁছান স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা। গোটা বিষয়ে তদন্ত হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। তবে মন্ত্রী নার্সিংহোম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধিদের হেনস্থা করা হয়। চেষ্টা হয় ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ারও। এঘটনা এখনও পর্যন্ত কোনওরকম হেলদোল দেখায়নি প্রশাসনের।