হিট পুজো-ফ্লপ পুজো নিয়ে ধুন্ধুমার কোচবিহার
কার পুজো হিট? আর কার পুজো ফ্লপ? তা নিয়ে দুই ক্লাবের চাপানউতোর। শেষমেশ সেটাই গড়াল মারধরে। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ। অবরোধ তুলতে পুলিসের লাঠি। একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড কোচবিহারে। কাঠগড়ায় উঠে এসেছে পুরপ্রধান ও তাঁর ছেলের নাম।
ওয়েব ডেস্ক: কার পুজো হিট? আর কার পুজো ফ্লপ? তা নিয়ে দুই ক্লাবের চাপানউতোর। শেষমেশ সেটাই গড়াল মারধরে। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ। অবরোধ তুলতে পুলিসের লাঠি। একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড কোচবিহারে। কাঠগড়ায় উঠে এসেছে পুরপ্রধান ও তাঁর ছেলের নাম।
পুজো শেষ। কিন্তু পুজো নিয়ে লড়াই শেষ হচ্ছে না। মঙ্গলবার কোচবিহারের ঘটনায় তা পরিষ্কার। কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রধান রেবা কুণ্ডু। তাঁর পাড়ার পুজো লীলাস্মৃতি ভবানী মন্দির। কিছুটা দূরেই তল্লিতলা ক্লাব। এবার ছিল তাদের পুজোর সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ। তল্লিতলার ঝলমলে পুজোয় লোক হয়েছে বেশি। তার জেরে ভিড় পাতলা হয়েছে লীলাস্মৃতি ভবানী মন্দিরে। পুজোর সময় থেকেই ঘুরঘুর করছিল কথাটা। লক্ষ্মীপুজোর পরদিন তা নিয়েই ধুন্ধুমার দেখল কোচবিহার শহর।
অভিযোগ, পুরপ্রধান রেবা কুণ্ডুর ছেলে শুভজিত্ কুণ্ডুর লোকজন তল্লিতলা ক্লাবের পুজো কমিটির সম্পাদক পরিমল সেনকে বেধড়ক মারধর করে। জখম পরিমল সেনকে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃণমূলের পুরপ্রধানের ছেলে শুভজিত্ নিজেও শাসকদলের কাউন্সিলর। অভিযোগ, পরিমল সেনের স্ত্রী কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস।
প্রতিবাদে তল্লিতলা ক্লাবের সদস্যরা মরাপোড়া চৌপথীতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। পুলিস লাঠিচার্জ করে অবরোধ তুলে দেয়। তল্লিতলার সদস্যরা তাতে আরও চটেছেন। তাঁদের অভিযোগ, অষ্টমীর দিন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পরিমল সেনকে শাসিয়েছিল পুরপ্রধানের দলবল। সেদিনও পুলিস কিছু করেনি। এদিনও করল না। দোষীদের ছেড়ে বিক্ষোভকারীদের পিটিয়েই দায় সারল পুলিস।