মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মিথ্যে প্রমাণ করে বাঁকুড়ায় ধুঁকছে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প
মুখ্যমন্ত্রী হামেশাই বলে থাকেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে নজির গড়েছে রাজ্য। তাই ১০০ দিনের বদলে রাজ্যে ২০০ দিনের কাজের দাবিও তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর রাজ্যেই অন্যতম পিছিয়ে পড়া জেলা বাঁকুড়ায় এখনও পর্যন্ত গড়ো মাথাপিছু কাজ মিলেছে মাত্র ৩৪দিন।
মুখ্যমন্ত্রী হামেশাই বলে থাকেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে নজির গড়েছে রাজ্য। তাই ১০০ দিনের বদলে রাজ্যে ২০০ দিনের কাজের দাবিও তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর রাজ্যেই অন্যতম পিছিয়ে পড়া জেলা বাঁকুড়ায় এখনও পর্যন্ত গড়ো মাথাপিছু কাজ মিলেছে মাত্র ৩৪দিন।
জেলার বেশিরভাগ অংশের মানুষই দু-চার মাস ছাড়া কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না। বহু ক্ষেত্রে শ্রমিকদের মজুরিও বকেয়া থাকছে মাসের পর মাস। বাঁকুড়া জেলায় গত আর্থিক বছরে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে মাথাপিছু কাজের গড় ছিল বাহান্ন দিন। এবার সেই গড়ের আশেপাশেও পৌঁছতে পারেনি বাঁকুড়া জেলা।
চলতি আর্থিক বছর শেষ হতে আরও সপ্তাহ দুয়েক বাকি। অথচ এখনও পর্যন্ত জেলাজুড়ে মাথাপিছু কাজ মিলেছে মাত্র ৩৪ দিন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, গতবছরের গড়কে আর কোনও ভাবেই ছোঁয়া সম্ভব নয় এবছরে। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের কাজ না পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ জেলার প্রায় সব এলাকার জবকার্ডধারীরা। তাঁদের অভিযোগ, বার বার কাজ চেয়েও কাজ মিলছে না। তবে কোনও কোনও এলাকায় কাজ মিললেও, বকেয়া থাকছে মজুরী।
১০০ দিনের কাজের এই বেহাল দশার জন্য অর্থাভাবকেই দায়ী করেছেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক বিজয় ভারতী। তাঁর মতে, জেলায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা আসছে, তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম। ফলে জেলাজুড়ে একশো দিনের প্রকল্পের কাজ অনেকটাই থমকে।
এ অবস্থায় স্বাভাবিক ভাবে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে শাসকদলের প্রার্থীরা এলে, তাঁদের কাছে তখন জবাব চাইবেন বলে জানিয়েছেন জবকার্ডধারীদের।