অস্ত্র সমর্পণের জন্য মাওবাদীদের আরও ৭ দিন সময় মুখ্যমন্ত্রীর

অস্ত্র সমর্পণের জন্য মাওবাদীদের আরও সাত দিন সময় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দু'দিনের জন্য জঙ্গলমহল সফরে গিয়ে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, চার মাস যৌথ অভিযান বন্ধ রেখে রাজ্য সরকার নিজের প্রতিশ্রুতি পালন করেছে। কিন্তু সুপারি কিলার দিয়ে খুনোখুনি চালিয়েই যাচ্ছে মাওবাদীরা।

Updated By: Oct 14, 2011, 10:11 AM IST

অস্ত্র সমর্পণের জন্য মাওবাদীদের আরও সাত দিন সময় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দু'দিনের জন্য জঙ্গলমহল সফরে গিয়ে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, চার মাস যৌথ অভিযান বন্ধ রেখে রাজ্য সরকার নিজের
প্রতিশ্রুতি পালন করেছে। কিন্তু সুপারি কিলার দিয়ে খুনোখুনি চালিয়েই যাচ্ছে মাওবাদীরা। হত্যা আর আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। 'মাওবাদী কে, মাওবাদী কোথায়? সিপিআইএম-ই আসলে মাওবাদীদের নাম ভাঁড়িয়ে খুনোখুনি চালিয়ে যাচ্ছে।' জঙ্গলমহলের সন্ত্রাস নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের প্রাক্-নির্বাচনী অভিযোগ এখন উধাও। মুখ্যমন্ত্রিত্বের আসনে বসেই তাঁর প্রশাসনে আঁচ লেগেছে মাওবাদী নাশকতার। যার মাশুল দিতে হচ্ছে তাঁর নিজের দলের কর্মী-সমর্থকদেরই। ফলে ভোটজয়ের কৌশল ঝেড়ে এখন প্রশাসক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শক্ত হাতে ধরতে হয়েছে আইন-শৃঙ্খলার লাগাম। সরাসরি হুঁশিয়ারির রাস্তায় হাঁটতে হচ্ছে  মাওবাদীদের বিরুদ্ধে। দু'দিনের সফরে জঙ্গলমহলে গিয়ে শনিবার ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে মাওবাদীদের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তাই তাঁকে অস্ত্র সমর্পণের জন্য আরও সাত দিন সময় সীমা দিতে হয়। মাওবাদীদের গায়ে সুপারি কিলারের তকমা লাগিয়ে দিয়ে হুঁশিয়ারি দিতে হয় খুনোখুনির রাজনীতি বন্ধ করার এবং চার মাস যৌথ অভিযান বন্ধ রাখার ব্যাপারে তুলে ধরতে হয় সরকার এবং তাঁর আন্তরিকতার কথা।
মাওবাদীদের সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্তমান অবস্থানের কড়া সমালোচনা করেছেন বাম্ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। বিমান বাবুর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের অস্ত্বিত্বই স্বীকার করতেন না। এখন তাঁদের প্রস্তাব দিচ্ছেন। তিনি বলেন অনুন্নয়নই শুধু সমস্যা নয়, তার উত্স সন্ধানও জরুরি।
নির্বাচনের আগে যে মাওবাদীদের দেখতেই পাননি সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই মাওবাদী জুজুই এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার জন্য মহাশ্বেতা দেবী, বিভাস চক্রবর্তীদেরও সমালোচনার শিকার হতে হচ্ছে তাঁকে। কিন্তু তবু নিরুপায় মুখ্যমন্ত্রীকে এখন মেনে নিতেই হচ্ছে সিপিআইএমের 'দেখানো এবং শেখানো' মাওবাদী-সন্ত্রাসের কথা।

.