কলম্বসের শিশু আবিস্কার

জলে ভেসে আসা হাঁড়ি থেকে উদ্ধার হল এক সদ্যোজাত। খাঁড়িতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন দুই মত্স্যজীবী। হাঁড়িটি দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের. ঢাকনা সরাতেই সন্দেহ বদলে যায় বিস্ময়ে। মাছের পরিবর্তে ফুটফুটে এক শিশুকে নিয়ে গ্রামে ফেরেন তাঁরা। জন্মের পর পরিত্যক্ত সেই শিশুকে মানুষ করার জন্য অনেকেই উত্সুক। তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা। দক্ষিণ দিনাজপুরের কোয়ারন গ্রাম। গ্রামের অদূরেই রয়েছে কাশিয়া খাঁড়ি। বুধবার সকালে সেখানেই মাছ ধরতে গিয়েছিলেন কলম্বাস ডাঙোয়ার। সঙ্গে ছিলেন আরেক মত্স্যজীবী গণেশ মহন্ত। জাল ফেলার আগে হঠাত্ই খাঁড়ির স্রোতে একটি হাঁড়ি ভেসে আসতে দেখেন তাঁরা।  

Updated By: Sep 4, 2013, 10:37 PM IST

জলে ভেসে আসা হাঁড়ি থেকে উদ্ধার হল এক সদ্যোজাত। খাঁড়িতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন দুই মত্স্যজীবী। হাঁড়িটি দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের. ঢাকনা সরাতেই সন্দেহ বদলে যায় বিস্ময়ে। মাছের পরিবর্তে ফুটফুটে এক শিশুকে নিয়ে গ্রামে ফেরেন তাঁরা। জন্মের পর পরিত্যক্ত সেই শিশুকে মানুষ করার জন্য অনেকেই উত্সুক। তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা। দক্ষিণ দিনাজপুরের কোয়ারন গ্রাম। গ্রামের অদূরেই রয়েছে কাশিয়া খাঁড়ি। বুধবার সকালে সেখানেই মাছ ধরতে গিয়েছিলেন কলম্বাস ডাঙোয়ার। সঙ্গে ছিলেন আরেক মত্স্যজীবী গণেশ মহন্ত। জাল ফেলার আগে হঠাত্ই খাঁড়ির স্রোতে একটি হাঁড়ি ভেসে আসতে দেখেন তাঁরা।
 
গিয়েছিলেন মাছ ধরতে। কিন্তু গ্রামে ফিরলেন ফুটফুটে একটা শিশু নিয়ে। ছোট্ট অতিথিকে দেখে গ্রামের মানুষ তখন আহ্লাদে আটখানা। শিশুটির দায়িত্ব নিতে আগ্রহী অনেকেই। আর সেটাই হয়ে দাঁড়াল সবচেয়ে বড় সমস্যা।
স্রোতে ভেসে চলা হাঁড়ি লাঠি দিয়ে টেনে পাড়ে এনেছিলেন কলম্বাস। শিশুকে বাঁচাতে সবার প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনিই. তাই বাচ্চার অধিকার তাঁদেরই পাওয়া উচিত বলে দাবি স্ত্রী তেরেসা ডাঙোয়ারের। গ্রামে যে এক ভিভিআইপি এসেছে, খবর যায় উপপ্রধানের কাছে। তাঁর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিস এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
 
বালুরঘাট হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়। এখন সে সেখানেই চিকিত্সাধীন। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, শিশু সুস্থ আছে. তা জেনে খুশি গ্রামের মানুষ। এত দাবিদারের মধ্যে শিশুর দায়িত্ব কে পাবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।

.