সহ-চিকিৎসককে অশালীন প্রস্তাব, রাজি না হওয়ায় হেনস্থা, অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
শ্রীলেখা দাস। পেশায় চিকিত্সক। রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার পদে যোগ দিয়েছিলেন। আর এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল তৃণমূল কংগ্রেসের রামপুরহাট মহকুমা কমিটির সম্পাদক। সুদীপ্ত মণ্ডলের অশালীন প্রস্তাবে রাজি হননি শ্রীলেখা। সেকারণে হেনস্থা এবং হামলার শিকার হলেন তিনি। গত ডিসেম্বরে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার পদে যোগ দেন শ্রীলেখা দাস। অভিযোগ তারপর থেকেই হাসপাতালের অন্য অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল ক্রগামত অশালীন প্রস্তাব দিতে শুরু করেন তাঁকে। প্রস্তাবে সায় না দেওয়ায় শুরু হয় হেনস্থা, হামলা।
শ্রীলেখা দাস। পেশায় চিকিত্সক। রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার পদে যোগ দিয়েছিলেন। আর এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল তৃণমূল কংগ্রেসের রামপুরহাট মহকুমা কমিটির সম্পাদক। সুদীপ্ত মণ্ডলের অশালীন প্রস্তাবে রাজি হননি শ্রীলেখা। সেকারণে হেনস্থা এবং হামলার শিকার হলেন তিনি।
গত ডিসেম্বরে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার পদে যোগ দেন শ্রীলেখা দাস। অভিযোগ তারপর থেকেই হাসপাতালের অন্য অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল ক্রগামত অশালীন প্রস্তাব দিতে শুরু করেন তাঁকে। প্রস্তাবে সায় না দেওয়ায় শুরু হয় হেনস্থা, হামলা।
ক্রমাগত মানসিক অত্যাচারে হাসপাতাল কোয়ার্টার ছেড়ে শ্রীরামপুরের বাড়ি থেকে রামপুরহাটে যাতায়াত শুরু করেন শ্রীলেখা। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি।
এরপরই হাসপাতাল সুপার এবং স্বাস্থ্যকর্তাদের কাছে সহকর্মী সুদীপ্ত মণ্ডলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান শ্রীলেখা। রামপুরহাট থানাতেও অভিযোগ জানান। কিন্তু লাভ হয়নি। বৃহস্পতিবার ফের হামলা। শ্রীলেখা এবং তাঁর বোনের ওপর চড়াও হয় সুদীপ্তর দলবল। কোনভাবে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে রামপুরহাট থানায় ছুটে যান শ্রীলেখা।
এসডিওর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত অভিযোগ নেয় রামপুরহাট থানা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাতেই ট্রেনেই শ্রীরামপুরের বাড়িতে ফিরে আসেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার শ্রীলেখা। শুক্রবার নিজের মাকে নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্যভবনে সুবিচারের আশায়। তবে বিচার দূর অস্ত। তার সঙ্গে দেখা করতে রাজী হননি স্বাস্থ্যসচিব সতীশ তেওয়ারি।
অভিযুক্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মচারী ইউনিয়নের রামপুরহাট মহকুমা কমিটির সম্পাদক। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুদীপ্ত মণ্ডল।
ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। তবে দুপক্ষের বক্তব্য শোনার জন্য হাসপাতাল সুপারকে নির্দেশ পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। হতাশ শ্রীলেখা দাসের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বারবার পুলিসের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন সুদীপ্ত।