নামঞ্জুর হল শিলাদিত্য চৌধুরীর জামিনের আর্জি
সরকারি আইনজীবীর আপত্তিতে শেষপর্যন্ত জামিন নাকচ হয়ে গেল শিলাদিত্য চৌধুরীর। সোমবার ঝাড়গ্রাম মহকুমা আদালতে এই জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল। শিলাদিত্য চৌধুরীর আইনজীবীর অভিযোগ ছিল তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
সরকারি আইনজীবীর আপত্তিতে শেষপর্যন্ত জামিন নাকচ হয়ে গেল শিলাদিত্য চৌধুরীর। সোমবার ঝাড়গ্রাম মহকুমা আদালতে এই জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল। শিলাদিত্য চৌধুরীর আইনজীবীর অভিযোগ ছিল তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
শিলাদিত্য চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে যক্ষ্মা রোগে ভুগছেন। সেই কারণে তাঁর শর্তাধীন জামিনের আবেদন জানান আইনজীবী। জেল হেফাজতে থাকা শিলাদিত্য চৌধুরীর চিকিত্সার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক প্রিয়জিত্ চ্যাটার্জি। কিন্তু তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। চলতি মাসের ১১ তারিখ শিলাদিত্য চৌধুরীকে গ্রেফতার করে ঝাড়গ্রাম মহকুমা আদালেত পেশ করেছিল বেলপাহাড়ি থানার পুলিস। তাঁকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিসকে মারধর করা, নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়া, আবার সেই নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যেই বহু লোক থাকার সুযোগে শিলাদিত্য চৌধুরী পালিয়ে গিয়েছেন বলে পুলিস লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ২৪ ঘণ্টার সাংবাদিকদের ক্যামেরায় যে ছবি ধরা পড়েছে তা কিন্তু শিলাদিত্য চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ছবি বলছে সেদিন নিরাপত্তাবেষ্টনীর বাইরেই ছিলেন শিলাদিত্য চৌধুরী। উপস্থিত সরকারি কর্মীদের গায়ে হাত তোলা বা মারধরের ঘটনা দূরে থাক, কোনও সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার ছবিও ধরা পড়েনি কোনও ক্যামেরায়। অর্থাত্ শিলাদিত্য চৌধুরীর বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, গত বুধবার তেমন কিছুই ঘটেনি। বরং মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ায় উচ্চপদস্থ পুলিসকর্মীরাই শিলাদিত্য চৌধুরীকে নিরাপত্তাবেষ্টনীর ভিতর দিয়ে মঞ্চের পিছন দিকে নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্তুষ্ট হয়ে পুলিস তাঁকে ছেড়েও দেয়। স্বাভাবিকভাবেই পুলিসের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়গুলি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর আইনজীবী।