মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি, সাগরেদরা ভারতীয়, ডাকাত দলকে ধরল পুলিস

স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে জোট বেঁধে কলকাতা ও আশেপাশে একের পর এক  ডাকাতির ঘটনা ঘটাচ্ছিল বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। অবশেষে কেস ক্র্যাক।বাইপাস লাগোয়া পঞ্চান্নগ্রাম থেকে এক মহিলা সহ চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিস। বাকি চার সদস্যের খোঁজে তল্লাসি চলছে।

Updated By: Sep 19, 2015, 11:44 PM IST
মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি, সাগরেদরা ভারতীয়, ডাকাত দলকে ধরল পুলিস

ওয়েব ডেস্ক: স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে জোট বেঁধে কলকাতা ও আশেপাশে একের পর এক  ডাকাতির ঘটনা ঘটাচ্ছিল বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। অবশেষে কেস ক্র্যাক।বাইপাস লাগোয়া পঞ্চান্নগ্রাম থেকে এক মহিলা সহ চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিস। বাকি চার সদস্যের খোঁজে তল্লাসি চলছে।

রিজেন্ট পার্ক, হরিদেবপুর, গল্ফগ্রিন। একসপ্তাহের মধ্যে তিনবার। শহরের বুকে বেপরোয়া ডাকাতি। অবশেষে সাফল্য। পুলিসের জালে ডাকাতির চার পাণ্ডা।

পুলিসের  জালে ডাকাতির মূল পাণ্ডা আসলাম ওরফে রাজু। ব্যান্ড মাস্টার মুনমুন মজুমদারের বারেই আলাপ  আসলামের। দলের বাকিরা হল লিটন শেখ ও শেখ জিয়া। শেখ জিয়া বাংলাদেশি নাগরিক। মুনমুনের গাড়ি করে ডাকাতি করত দুষ্কৃতীরা। ডাকাতির টাকাতেই পঞ্চান্নগ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।

কিন্তু কীভাবে দুষ্কৃতীদের খোঁজ পেল পুলিস? রিজেন্ট পার্ক ও গল্ফগ্রিন দুটি জায়গাতেই ডাকাতির জন্য গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে জানতে পারে পুলিস।
তিনজায়গাতেই দুষ্কতীদের মুখ ঢাকা থাকলেও,একজনের চোখের রং ধূসর বলে জানা যায়। সোর্স কাজে লাগিয়ে পুলিস খোঁজ পায়  একটি বারের। সেখান থেকে মুনমুন আসলামের ঠিকানার।

তিলজলার সাপগাছি সেকেন্ড লেন। ব্যবসায়ী মনোজ সাউয়ের বাড়ি। স্থানীয় দালালের সাহায্যে ৩ মাস আগে এই বাড়িতে ভাড়া আসেন রাজু ওরফে আসলাম  ও মুনমুন। নিজেদের বারাসতের বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন তাঁরা।

শুক্রবার গভীর রাতে এই বাড়িতে হানা দেয় কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দারা। সহজেই জালে ধরা পড়ে আসলাম ও মুনমুন।কিন্তু, বিপদের আঁচ পেয়ে যায় তৃতীয়জন। পুলিসি হানার কথা বুঝতে পেরে সটান উঠে পড়ে বাড়ির চারতলার ছাদে। তারপর বাঁশের সাহায্যে পাশের ফ্ল্যাটের ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু, টাইমিংয়ের গোলমালে ভেস্তে যায় প্ল্যান। পাশের বাড়ির ছাদের বদলে রেশমা খাতুনের  টালির বাড়িতে আছড়ে পড়ে ওই দুষ্কৃতী। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিস। ডাকাতির আরেক পাণ্ডাকে  ট্যাংরা থেকে গ্রেফতার করে পুলিস।  তবে, এখনও অধরা গ্যাংয়ের বাকিরা।

.