শিলিগুড়ি ও রায়গঞ্জে জমি অধিগ্রহণে বাধা গ্রামবাসীদের
অধিগৃহীত জমিতে সীমানা প্রাচীর দেওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তেজনা ছড়ায় শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে। পে-লোডার দিয়ে প্রাচীর তৈরির জন্য খোঁড়া গর্ত বন্ধ করে দেন অনিচ্ছুক কৃষকরা। তাঁদের বাধার মুখে পড়ে পিছু হঠতে হয় শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষকে।
অধিগৃহীত জমিতে সীমানা প্রাচীর দেওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তেজনা ছড়ায় শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে। পে-লোডার দিয়ে প্রাচীর তৈরির জন্য খোঁড়া গর্ত বন্ধ করে দেন অনিচ্ছুক কৃষকরা। তাঁদের বাধার মুখে পড়ে পিছু হঠতে হয় শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষকে। জমি অধিগ্রহণ ঘিরে এদিন উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জেও। কৃষকদের অন্ধকারে রেখে জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে বাধার মুখে পড়ে রেল।
গত কয়েকদিন ধরেই কাওয়াখালিতে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার কাজ শুরু করেছিল শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদ। শনিবার সংগঠিত হয়ে সেকাজে বাধা দেন অনিচ্ছুক জমিদাতারা। তাঁদের অভিযোগ, একসময় তৃণমূলের নেতৃত্বে জমি বাঁচানোর আন্দোলনে নেমেছিলেন কাওয়াখালির বাসিন্দারা। আজ সেই তৃণমূলই তাঁদের জমি দখল করছে। চাষিদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ না-দিয়েই শুরু হয়েছে জমিতে পাঁচিল দেওয়ার কাজ।
শনিবার পে-লোডার এনে বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রাচীরের জন্য খোঁড়া গর্ত। পিছু হঠেন পর্ষদ নিযুক্ত সিন্ডিকেটের সদস্যেরা। বন্ধ হয়ে যায় প্রাচীর দেওয়ার কাজ। জমিহারাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান সিন্ডিকেটের সদস্যরা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। পৌঁছন শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান অনিচ্ছুক জমিদাতারা।
কৃষকদের দাবি যে সঙ্গত সেকথা স্বীকারও করে নিয়েছেন এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ। সংস্থার এক আধিকারিক জানান, আইনি জটিলতার কারণে সমস্ত কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়নি।
জমি অধিগ্রহণ ঘিরে শনিবার উত্তেজনা ছড়ায় রায়গঞ্জের বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তাহেরপুর ও সিজগ্রামে। অভিযোগ, কৃষকদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না-করেই সকালে ইটাহার-রায়গঞ্জ রেলপ্রকল্পের জন্য সিজগ্রামে খুঁটি পুঁততে যান রেলের আধিকারিকরা। সেখানে বাধার মুখে পড়ে পাশের গ্রাম তাহেরপুরে যান তাঁরা। সেখানেও বাধা পেয়ে চলে যেতে বাধ্য হন রেল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, জমি অধিগ্রহণের জন্য কোনও প্রামাণ্য নথি দেখাতে পারেননি রেলের আধিকারিকরা। তবে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পেলে রেললাইন পাতার কাজে তাদের কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।