রাজাভাতখাওয়ায় লাইনের দুপাশে গাছ কাটতে চায় রেল
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে রেল লাইনের মাঝখানে গাছ পড়ে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা এড়াতে শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত বিস্তীর্ণ রেল পথের মধ্যে বনাঞ্চলের একশরও বেশি গাছ কেটে ফেলার জন্য বনদফতরকে আর্জি জানিয়েছে রেল।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে রেল লাইনের মাঝখানে গাছ পড়ে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা এড়াতে শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত বিস্তীর্ণ রেল পথের মধ্যে বনাঞ্চলের একশরও বেশি গাছ কেটে ফেলার জন্য বনদফতরকে আর্জি জানিয়েছে রেল। বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্ত বনদফতরের পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়। গাছ কাটতে হলে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকেরও অনুমতি প্রয়োজন বলে জানান হিতেন বাবু। বিষয়টি নিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গেও তিনি আলোচনা করবেন বলে জানান।
শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত রেলপথের দুপাশে থাকা বড় বড় গাছ কাটার জন্য বনদফতরের কাছে আর্জি জানিয়েছে রেল। রেলমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে রেলের জমিতেই পড়ছে এই বনাঞ্চল। মাঝেমধ্যেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বড় বড় গাছ রেললাইনের ওপর পড়ায় দুর্ঘটনা ঘটছে। এর জেরে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে রেলকে।
রেলের সার্ভে রিপোর্টে জানা গেছে কয়েকদিন আগেই আলিপুরদুয়ার ও রাজাভাতখাওয়া স্টেশনের মাঝখানে ঝড়ে অন্তত ৬ জায়গায গাছ ভেঙে পড়ে। অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় একটি মালগাড়ি। সমীক্ষায় শিলিগুড়ি থেকে নিমাল জংশন পর্যন্ত অন্তত ১৩০টি গাছ কাটার জন্য রেলের তরফে চিহ্ণিত করা হয়েছে। বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন জানিয়েছেন গাছ কাটার জন্য কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকেরও অনুমতি প্রয়োজন।
বিষয়টি নিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন।