নিরাপত্তায় `আমরা-ওরা`

রাজনীতির ক্ষেত্রে আমরা-ওরা, শাসক দলের মধ্যে পুরনো-নতুন বিভাজন তো ছিলই। এবার নজিরবিহীনভাবে সেই বিভাজন দেখা গেল নিরাপত্তার বন্দোবস্তে। মাওবাদী কার্যকলাপ রয়েছে এমন এলাকার শুধুমাত্র এক পুলিস সুপার পেলেন বুলেটপ্রুফ গাড়ি। বাকিদের তা জুটল না।মাওবাদী এলাকায় প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় জওয়ানদের। আর তাঁদের যাঁরা পরিচালনা করেন, তার মধ্যে অন্যতম জেলার পুলিস সুপাররা। প্রয়োজনের তাগিদে অভিযান থেকে শুরু করে, যে কোনও সময় যে কোনও জায়গায় তাঁদের পৌঁছে যেতে হয়।  

Updated By: Jul 13, 2013, 08:44 AM IST

রাজনীতির ক্ষেত্রে আমরা-ওরা, শাসক দলের মধ্যে পুরনো-নতুন বিভাজন তো ছিলই। এবার নজিরবিহীনভাবে সেই বিভাজন দেখা গেল নিরাপত্তার বন্দোবস্তে। মাওবাদী কার্যকলাপ রয়েছে এমন এলাকার শুধুমাত্র এক পুলিস সুপার পেলেন বুলেটপ্রুফ গাড়ি। বাকিদের তা জুটল না।মাওবাদী এলাকায় প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় জওয়ানদের। আর তাঁদের যাঁরা পরিচালনা করেন, তার মধ্যে অন্যতম জেলার পুলিস সুপাররা। প্রয়োজনের তাগিদে অভিযান থেকে শুরু করে, যে কোনও সময় যে কোনও জায়গায় তাঁদের পৌঁছে যেতে হয়।
 
পরিস্থিতিটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের পাকুরের এসপি-র ওপর হামলার ঘটনায়।
 
এরপর থেকেই এরাজ্যের জঙ্গলমহলের তিন জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বীরভূমের পুলিস সুপারদের নিরাপত্তার বাড়তি বন্দোবস্ত করার কথা বলা হয়। একইসঙ্গে ঝাড়গ্রাম পুলিস জেলার সুপারের জন্যও একই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখান থেকেই নিরাপত্তাতেও তৈরি হয়েছে বিভাজন।
 
ঝাড়গ্রামের পুলিস সুপার ভারতী ঘোষ পেয়েছেন বুলেটপ্রুফ গাড়ি। এই গাড়ি নিয়েই তিনি নির্বাচনের দিনও ঘুরে বেড়িয়েছেন। রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তার সুপারিশেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু বাকি জেলার পুলিস সুপাররা কেন এই সুযোগ পেলেন না, তার কোনও সদুত্তর নেই। নিরাপত্তায় কেন এই বিভাজন তারও কোনও উত্তর মেলেনি। ঝাড়খণ্ডের পাকুর এলাকায় মাওবাদীদের অস্তিত্ত্ব থাকলেও বড়সড় নাশকতার ঘটনা এখানে ঘটেনি।তা সত্ত্বেও সেখানে এতবড় হামলা হয়েছে। সুতরাং, শুধুমাত্র ঝাড়গ্রাম পুলিস জেলার সুপারের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পুলিস মহলেই।
 

.