বিনা অনুমতিতে সভা করে বন্ধ প্রত্যাহার বার্লাদের
ডুয়ার্সে অনির্দিষ্টকালীন বন্ধ আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল মোর্চা ও জন বার্লা গোষ্ঠীর যৌথমঞ্চ। রাজ্য সরকারকে তাঁরা আরও কিছুটা সময় দিতে চান বলে জানিয়েছেন জন বার্লা। যদিও বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই ডুয়ার্সের দলসিংপাড়ায় জনসভা করে যৌথমঞ্চ।
ডুয়ার্সে অনির্দিষ্টকালীন বন্ধ আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল মোর্চা ও জন বার্লা গোষ্ঠীর যৌথমঞ্চ। রাজ্য সরকারকে তাঁরা আরও কিছুটা সময় দিতে চান বলে জানিয়েছেন জন বার্লা। যদিও বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই ডুয়ার্সের দলসিংপাড়ায় জনসভা করে যৌথমঞ্চ। সরকার অনুমতি না-দিলে তাঁদের সভা এভাবেই বিনা অনুমতিতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যৌথমঞ্চের পক্ষে।
ডুয়ার্সে অনির্দিষ্টকালীন বন্ধ থেকে আপাতত সরে এল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও জন বার্লা গোষ্ঠীর যৌথমঞ্চ। বন্ধ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার। ডুয়ার্সের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে, আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা রক্ষা করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। সরকারকে তাঁরা আরও কিছুটা সময় দিয়ে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন জন বার্লা। গত রবিবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও জন বার্লা গোষ্ঠীকে নাগরাকাটায় সভা করার অনুমতি না-দেওয়ায় ডুয়ার্সে অনির্দিষ্টকালীন বন্ধ ডাকে যৌথমঞ্চ। বন্ধের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের দলসিংপাড়ায় সেই প্রশাসনিক অনুমতির কোনওরকম তোয়াক্কা না করেই জনসভা করে মোর্চা ও বার্লা গোষ্ঠী। সভার অনুমতি কেন দেওয়া হচ্ছে না, এই প্রশ্নে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং। বার্লা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে এরপর থেকে সভা হবে অনুমতি ছাড়াই।
এভাবে বিনা অনুমতিতে সভা করা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনও কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। বরং বিষয়টিকে যে তাঁরা কার্যত আমল দিতে নারাজ, তা এদিন স্পষ্ট হয়ে যায় মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্যেই। তিনি বলেন, ওরকম বিনা অনুমতিতে সভা কতই হয়ে থাকে।
আপাতত বনধ উঠে যাওয়ায় ডুয়ার্সে অশান্তির আগুন নিভবে বলেই আশা সরকারের। তবে ভবিষ্যতে মোর্চা ও বার্লা গোষ্ঠীকে বনধের রাস্তা থেকে দূরে রাখতে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, তার ওপরই এই অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা নির্ভর করছে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের।