ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ, অ্যাসিড ঢেলে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হল তরুণীর
ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হলেন এক তরুণী। শনিবার সন্ধেয় তাঁর মাথায় অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়। শরীরে ৫০ শতাংশ ক্ষত নিয়ে ওই তরুণী এখন হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে একজন ওই তরুণীর কাকা।
ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হলেন এক তরুণী। শনিবার সন্ধেয় তাঁর মাথায় অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়। শরীরে ৫০ শতাংশ ক্ষত নিয়ে ওই তরুণী এখন হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে একজন ওই তরুণীর কাকা। ওই ব্যক্তিই তরুণীর মাথায় অ্যাসিড ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ।
বারাসত থেকে বাগনান হয়ে ইভটিজিংয়ের থাবা এবার হুগলির পাণ্ডুয়ার দাবড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। মায়ের সঙ্গে কিছুক্ষণের জন্য বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন তরুণী। ফেরার সময় সুইট মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি তরুণীর মাথায় অ্যাসিড ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ। সুইট সম্পর্কে ওই তরুণীর কাকা। পালিয়ে যাওয়ার সময় তরুণীর মা টর্চের আলোয় চিনে ফেলেন তাকে। তরুণীর মায়ের চিত্কারে ছুটে এসে প্রতিবেশীরা সুইট মণ্ডলকে ধরে ফেলেন। পরে তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাণ্ডুয়া থানার পুলিস সুইটকে জেরা করে রিজানুর রহমান ওরফে ডালিম নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, অনেক দিন ধরেই তরুণীকে উত্যক্ত করত ডালিম। প্রতিবাদ করায় ওই তরুণীকে চরম শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ডালিম। পুলিস জানতে পেরেছে, পনেরো হাজার টাকার লোভ দেখিয়ে ডালিম তরুণীর কাকা সুইট মণ্ডলকে হাত করে ফেলে। তাকেই অ্যাসিড ছোঁড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অ্যাসিডে তরুণীর মাথার চুল পুড়ে গিয়েছে। পুড়ে গিয়েছে মুখের অনেকটা অংশ। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, অ্যাসিড শরীরের অন্যত্র গড়িয়ে পড়ায় ৫০ শতাংশ ক্ষত তৈরি হয়েছে। তরুণীকে প্রথমে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায়, পরে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।