মহাজনের তাগাদার ভয়ে গ্রাম ছাড়ছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃষকরা

নবান্নের গন্ধ মিশে রয়েছে গ্রামের বাতাসে। রয়েছে গোলা ভরা ধান।  তবুও আতঙ্কে কাঁটা পশ্চিম মেদিনীপুরের ষোল পরিবারের গ্রামের বাসিন্দারা।  চাষ-বাসই প্রধান রুটিরুজি এখানকার মানুষের। চাষ না থাকলে দিনমজুরিতে অন্ন সংস্থান। ফসল ভালো ফললেও বাজারে দাম না মেলায় মাথায় চেপেছে বড় ঋণের বোঝা।

Updated By: Jan 7, 2012, 10:58 AM IST

নবান্নের গন্ধ মিশে রয়েছে গ্রামের বাতাসে। রয়েছে গোলা ভরা ধান।  তবুও আতঙ্কে কাঁটা পশ্চিম মেদিনীপুরের ষোল পরিবারের গ্রামের বাসিন্দারা।  চাষ-বাসই প্রধান রুটিরুজি এখানকার মানুষের। চাষ না থাকলে দিনমজুরিতে অন্ন সংস্থান। ফসল ভালো ফললেও বাজারে দাম না মেলায় মাথায় চেপেছে বড় ঋণের বোঝা। মহাজনের থেকে নেওয়া ঋণের টাকা শোধের চিন্তা কেড়ে নিয়েছে রাতের ঘুম।
এক এক করে গ্রামছাড়া হচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ষোল পরিবার গ্রামের বাসিন্দারা। কোনও মাওবাদী সন্ত্রাসের ভয়ে নয়। মহাজনের ঋণের টাকা শোধের দিন এগিয়ে আসতেই ক্রমশ শুন্য হচ্ছে এই গ্রাম। ফলন ভালো হলেও বাজারে দর না-মেলায় টাকা শোধ করতে পারেননি গ্রামের অনেক কৃষকই। নিদারুণ অর্থাভাব আর চক্ষুলজ্জার ভয়ে শেষ পর্যন্ত ভিটেমাটি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কর্মসূচিও কার্যকরী হয়নি বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। সমাধানের পথ জানাতে পারেননি স্থানীয় বিধায়কও। 
সরকার সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ঘোষণা করায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন কৃষকরা। কিন্তু, আশ্বাসই সার। সরকারি কর্মসূচি থমকে গেছে পরিকল্পনার স্তরেই। `দিন আনি দিন খাই` কৃষকদের কাছে পৌঁছয়নি তার সুফল। আদৌ পৌঁছবে কিনা তাও জানেন না ষোল পরিবার গ্রামের বাসিন্দারা।

.