অতি বৃষ্টিতে চাষের ক্ষতি, মাথায় হাত ধানচাষীদের
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ডিভিসি জল ছাড়ায় তলিয়ে গেছে কালনার একাধিক গ্রামের কয়েকশো বিঘা চাষের জমি। অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডায়মন্ডহারবার ও কাকদ্বীপের মোট ১৩টি ব্লকের কয়েক হাজার হেক্টর চাষের জমিও। সব মিলিয়ে আশঙ্কায় কালনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কৃষকরা।
ওয়েব ডেস্ক: কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ডিভিসি জল ছাড়ায় তলিয়ে গেছে কালনার একাধিক গ্রামের কয়েকশো বিঘা চাষের জমি। অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডায়মন্ডহারবার ও কাকদ্বীপের মোট ১৩টি ব্লকের কয়েক হাজার হেক্টর চাষের জমিও। সব মিলিয়ে আশঙ্কায় কালনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কৃষকরা।
কেউ ঋণ নিয়েছেন চড়া সুদে। কেউ বা সোনা বন্ধক রেখে টাকা জোগাড় করেছেন। সেই টাকাতেই ধান ও সবজি চাষ করেছেন কালনার নারেঙ্গা, বাঘনাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের চাষীরা। কিন্তু একদিকে টানা বর্ষণ, অন্যদিকে ডিভিসি থেকে জল ছাড়ায় বেড়েছে বেহুলা নদীর জল। চোখের সামনে বিঘের পর বিঘে চাষের জমি চলে গেছে জলের তলায়। মাঠের ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কি? অনিশ্চয়তা দিন কাটছে কৃষকদের।
অতিবৃষ্টিতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মগরাহাট এক ও দুই, মন্দিরবাজার, মথুরাপুর এক ও দুই এবং সাগর ব্লকের। নষ্ট হয়েছে বীজ তলা। রোয়া ধানও জলের তলায়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলির সবজির ক্ষেতও। এই পরিস্থিতিতে মগরাহাট এক নম্বর ব্লকের উদ্যোগে বেশ কিছু চাষিদের দশ কেজি করে বীজধান দেওয়া হচ্ছে নতুন করে বীজতলা তৈরির জন্য।
অতিবৃষ্টিতেই যে চাষের ক্ষতি, জানিয়েছেন কৃষি আধিকারিকরাও। এই মরশুমে জুন আর জুলাই মাসেই পঞ্চাশ শতাংশ বৃষ্টি হয়ে গেছে। এখনও বাকি অগাস্ট-সেপ্টেম্বর। অতিবৃষ্টিতে ফসল বাঁচানো যাবে তো?বাড়ছে উদ্বেগ।