অনুব্রতর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের

শেষ পর্যন্ত খুনের অভিযোগ দায়ের হল অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। পারুইয়ের নির্দল প্রার্থীর বাবা সাগর ঘোষের খুনের ঘটনায় ওই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বীরভূমের পুলিস সুপারের কাছে ডাক মারফত্‍ অভিযোগ দায়ের করেছেন সাগর ঘোষের পূত্রবধূ। খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে অনুব্রত সহ মোট ৩৩ জনের বিরুদ্ধে।

Updated By: Jul 27, 2013, 03:43 PM IST

শেষ পর্যন্ত খুনের অভিযোগ দায়ের হল অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। পারুইয়ের নির্দল প্রার্থীর বাবা সাগর ঘোষের খুনের ঘটনায় ওই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বীরভূমের পুলিস সুপারের কাছে ডাক মারফত্‍ অভিযোগ দায়ের করেছেন সাগর ঘোষের পূত্রবধূ। খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে অনুব্রত সহ মোট ৩৩ জনের বিরুদ্ধে।
হুমকির শুরটা হয়েছিল পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়া নির্দল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। হামলার প্ররোচনা এসেছিল পুলিসের বিরুদ্ধেও। অনুব্রতর হুমকির পরই বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় হামলার মুখে পড়েন তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পারুই থানার বিস্তীর্ণ এলাকা। ভোটের আগের রাতে কসবা এলাকার বাঁধ নবগ্রামে হামলা হয় নির্দল প্রার্থী হৃদয় ঘোষের বাড়িতে। গুলিবিদ্ধ হন হৃদয় ঘোষের বাবা সাগর ঘোষ। পরদিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে তাঁর মৃত্যু হয়।
 
অনুব্রতর দলবল ওই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠলেও এনিয়ে কোনও পদক্ষের করেনি প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত ওই ঘটনায় অনুব্রত সহ তেতাল্লিশজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করল নিহত সাগর ঘোষের পরিবার। অভিযোগ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয় বীরভূমের পুলিস সুপারের কাছে। শনিবারই তা সরকারি ভাবে গৃহীত হয়।
 
প্রকাশ্যে হুমকি আর হামলার প্ররোচনার হাত ধরেই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। হুমকি দিয়েছিলেন নির্দল প্রার্থীদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার।
হুমকির ফলও মিলেছিল হাতে নাতে। অনুব্রতর হুমকির পরদিনই ঘর পুডেছিল পারুই গ্রামের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থী রবিলাল মুর্মুর। তখনই অনুব্রতর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও এরপরও শাসকদলের ওই নেতার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন। এবারে সরাসরি খুনের মামলায় অভিযুক্ত শাসকদলের জেলা সভাপতির  বিরুদ্ধে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই দেখার।

.