অতি নিম্নচাপের বৃষ্টিতে বানভাসি বাংলা, বাড়ছে ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ
অতি গভীর নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি। তার সঙ্গে বিভিন্ন ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলে বানভাসি বাংলা। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গা, ময়ূরাক্ষী, অজয়, কংসাবতী, শীলাবতী। জেলায় জেলায় দুর্ভোগের জলছবি। ভেঙে পড়ছে কাঁচা বাড়ি। হাহাকার জলবন্দি মানুষের। বীরভূম
ঝাড়খণ্ড, বিহারে বৃষ্টি। সঙ্গে জলাধার থেকে ছাড়া জল। বিপর্যস্ত প্রায় গোটা বীরভূম। তিলপাড়া, বইধারা, মাসাঞ্জোর, হিংলো, দেউচা থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হয়েছে। তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে আচমকা ছাড়া জলে সাঁইথিয়ায় উল্টে যায় ছটি ট্রাক।
সাহায্যের আশ্বাস প্রশাসনের।
বাঁকুড়া
শুক্রবার রাতে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বাহান্ন হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। সোনামুখীর বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। বাকুঁড়ার কোতুলপুরে জলের তোড়ে ভেসে যায় বাস। কোতুলপুর-জয়রামবাটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ
পুকুরের সঙ্গে মিশে গেছে রাস্তা। কান্দিতে পুকুরে তলিয়ে যায় ক্লাস ফাইভের ছাত্রী। হিজল, ভরতপুর, খড়গ্রাম, নবগ্রাম কার্যত জলের তলায়। নবগ্রামে ভেঙে গিয়েছে নদীবাঁধ। কান্দি-সালার রাজ্য সড়ক বন্ধ। এদিন বড়ঞায় ত্রাণশিবিরে যান তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।
তবে ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে জলবন্দি মানুষের।
হুগলি
বানভাসি হুগলির আরামবাগ, খানাকুল, পুরশুরা। গোঘাটের মান্দারনে নয়ানজুলিতে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে উল্টে যায় যাত্রীবাহী বাস।
আরামবাগের শালেপুরে নালায় পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার।
জল জমেছে তারকেশ্বরের মন্দির চত্বরে। আটকে পড়েন পুণ্যার্থীরা।
নীচু এলাকাগুলি থেকে দশহাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্কুল এবং ধর্মশালাতে রাখা হয়েছে তাঁদের। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
পূর্ব মেদিনীপুর
এখনও জলমগ্ন কোলাঘাট, তমলুক, ময়না, এগরা, ভগবানপুর সহ বহু এলাকা। ডিভিসির ছাড়া জলে ক্ষীরাইয়ের বাঁধ ভেঙেছে। প্লাবিত কুড়িটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। টিউবয়েলগুলি জলের তলায়। পানীয় জলের হাহাকার তীব্র।
সাহায্যের আশ্বাস প্রশাসনের।
উত্তর ২৪ পরগনা
বনগাঁ-গাইঘাটার জল নামছে নিচের দিকে।যমুনা ও ইছামতী উপচে পড়ছে। প্লাবিত স্বরূপনগরের বিস্তীর্ণ এলাকা। দুর্ভোগ বাড়ছে মানুষের।
বৃষ্টি বাড়লে দুর্ভোগ আরও বাড়বে। তাই সতর্ক প্রশাসন।