গণধর্ষণ কাণ্ডের পর গোসবার লজগুলিতে নজরদারি ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে
সুন্দরবনে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠছে ছোট বড় হোটেল-লজ। গোসাবার বালিদ্বীপ দুইয়ের পখিরালয় সংলগ্ন এরকম একটি লজেই গণধর্ষণের অভিযোগ। আর তারপরই প্রশ্নের মুখে এলাকার লজগুলিতে নজরদারি ব্যবস্থা।
ওয়েব ডেস্ক: সুন্দরবনে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠছে ছোট বড় হোটেল-লজ। গোসাবার বালিদ্বীপ দুইয়ের পখিরালয় সংলগ্ন এরকম একটি লজেই গণধর্ষণের অভিযোগ। আর তারপরই প্রশ্নের মুখে এলাকার লজগুলিতে নজরদারি ব্যবস্থা।
পখিরালয়ের কাছে একটি লজের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ মণ্ডল। সোনারপুরের তরুণীকে নিয়ে ঘরের জন্য তার কাছেই হাজির হয় বাবলু, পুষ্পেন্দু এবং বিদেশ। সিদ্ধার্থদের লজে ঘর নেই বলে পখিরালয় সংলগ্ন প্রমীলা লজের মালিককে ফোন করেন সিদ্ধার্থ। অনায়াসেই ঘরের ব্যবস্থা হয়ে যায়। রেজিস্ট্রারে নাম তোলার কোনও বালাই নেই। ব্যক্তিগত পরিচয়েই লজের দশ নম্বর ঘরে তিনজন পুরুষ ও এক তরুণীর ঠাঁই হয়ে যায়। বাসিন্দারা বলছেন, এটা এমন কোনও বড় ব্যাপার নয়। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা হোটেল-লজগুলিতে অবৈধ বা অনৈতিক কাজকর্ম রোজকার ব্যাপার।
প্রমীলা লজের মালিকের আত্মীয়ার বক্তব্যেও তো ইঙ্গিতটা মিলছে। লজে এমন অনেক কাজ চলে যার জন্য বাড়ির মহিলারা হোটেলে ঢুকতে দ্বিধা বোধ করেন।
পুলিস কি কিছুই জানে না? শুধু স্থলে নয়। জলের পর্যটনে নজরদারি নেই পুলিসের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মত, পুলিসি নজরদারি কম থাকায় বাড়ছে অপরাধ। এরকম চলতে থাকলে হয়ত নষ্ট হয়ে যাবে সুন্দরবনের পর্যটন শিল্পই।