'গতিধারা'-য় গতি পাচ্ছে জঙ্গলমহল
একটা সময়ে অন্যের গাড়ি চালিয়ে দিন গুজরান হত ওদের। তাও নিয়মিত কাজ নেই। সংসার চালাতে প্রাণপাত। কিন্তু রাজ্য সরকারের গতিধারা প্রকল্পে ওরা এখন গাড়ির মালিক। দিন ফিরেছে জঙ্গলমহলের শুভাশিষ,অমল, রফিকদের। তাঁদের সঙ্গে খুশি পরিবারের লোকজনও।
ওয়েব ডেস্ক: একটা সময়ে অন্যের গাড়ি চালিয়ে দিন গুজরান হত ওদের। তাও নিয়মিত কাজ নেই। সংসার চালাতে প্রাণপাত। কিন্তু রাজ্য সরকারের গতিধারা প্রকল্পে ওরা এখন গাড়ির মালিক। দিন ফিরেছে জঙ্গলমহলের শুভাশিষ,অমল, রফিকদের। তাঁদের সঙ্গে খুশি পরিবারের লোকজনও।
ঝাড়গ্রামের সন্তু রায়। পেশায় গাড়িচালক। আগে লোকের গাড়ি চালিয়েই দিন গুজরান হত বছর ৩০-এর এই যুবকের। রোজকার টাকার পুরোটাই খাওয়া-দাওয়ার পেছনেই খরচ হত। কিন্তু কী হবে দুই ছেলেমেয়ের পড়াশুনোর। সংসারের আর পাঁচটা কাজই বা হবে কীভাবে। এমনকি নিয়মিত অন্যের গাড়ি চালানোর বরাতও জোটেনা। এই অবস্থায় কোনওদিনই ভাবতে পারেননি আস্ত একটা গাড়ির মালিক হবেন নিজে। কিন্তু সেই স্বপ্নই আজ বাস্তব। পাশে রাজ্য সরকার।
পড়ূন লম্ফ নয়, জঙ্গলমহলের গ্রামগুলিতে এখন জ্বলে বিদ্যুতের আলো
'গতিধারা' প্রকল্পের আওতায় মালবাহী ছোট গাড়ি কিনে আজ স্বনির্ভর সন্তু। নিজেই গাড়ি চালিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজ করেন। এর ফলে হাল ফিরেছে সংসারের। খুশি পরিবারের লোকজনও। শুধু কী সন্তু রায়। না, জঙ্গলমহলের এমন অনেক বেকার যুবকই আজ গতিধারা প্রকল্পের দ্বারা জীবনের গতি পেয়েছেন। একসময়ে যার রোজগার ছিল নিতান্তই সাদামাটা, সেই যুবকও প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করছেন। শুধু সন্তু, রফিকরাই নন। গতিধারায় উপকৃত অনেকেই। এই প্রকল্পের আওতায় আরও অনেক বেকার যুবকের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। শুরু হয়েছে সেই প্রক্রিয়াও।