প্রশাসনের নাকের ডগায় বেআইনিভাবে বিকোচ্ছে কোটি কোটি টাকার ইলিশ

মত্‍স্য দফতরের নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার। পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলে অবাধে  ইলিশ শিকার  চলছে। সেই মাছই বাংলাদেশের বিখ্যাত চাঁদপুরের ইলিশ নামে বিকোচ্ছে দেড়-দুহাজার টাকা কেজি দরে। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে ইলিশের চোরাকারবার। অথচ নির্বিকার প্রশাসন।

Updated By: Jun 7, 2015, 08:19 PM IST
প্রশাসনের নাকের ডগায় বেআইনিভাবে বিকোচ্ছে কোটি কোটি টাকার ইলিশ

ওয়েব ডেস্ক: মত্‍স্য দফতরের নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার। পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলে অবাধে  ইলিশ শিকার  চলছে। সেই মাছই বাংলাদেশের বিখ্যাত চাঁদপুরের ইলিশ নামে বিকোচ্ছে দেড়-দুহাজার টাকা কেজি দরে। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে ইলিশের চোরাকারবার। অথচ নির্বিকার প্রশাসন।

জামাই আদর যখন, তখন দামে কীই বা এসে যায়! জামাইষষ্ঠীতে পকেট প্রায় ফাঁকা করেই ইলিশ কিনেছেন এ বঙ্গের শ্বশুরমশাইরা। বাংলাদেশের অত্যন্ত সুস্বাদু ইলিশ বলে হাঁক পেড়েছেন মাছ বিক্রেতারা। হাত কচলেও দেড় থেকে দুহাজার টাকা বের করে দিয়েছেন সকাল সকাল বাজারে যাওয়া বাঙালিরা। কিন্তু তখনও কি তাঁরা জানতেন চার-পাঁচশো টাকার ইলিশ কিনতে হয়েছে দেড়-দুহাজার টাকায়? নেপথ্যে একদল চোরা মাছকারবারি। সমুদ্রে ইলিশ ধরার নিষিদ্ধকাল। কারণ, ইলিশ প্রজননের এটাই সময়। অথচ প্রশাসনের এই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই দেদার ইলিশ ধরছে চোরা মত্স্যজীবীরা। মন্দারমণি, দাদনপাত্রবাড়, হরিপুর, ভোগপুরের সমুদ্র উপকূলে অবাধে চলছে ইলিশ ধরা। বাংলাদেশের চাঁদপুরের নামে সেই ইলিশ প্যাকেটজাত করে বিক্রি হচ্ছে দেড়-দুহাজার টাকায়।

শুধু এ রাজ্যই নয়, ভিনরাজ্যেও রফতানি হচ্ছে এই ইলিশ। লোকঠকানো এই কারবারে কোটি কোটি মুনাফা লুঠছে অসাধু মত্স্য ব্যবসায়ীরা। প্রশাসন নির্বিকার। তাদের নাকের ডগাতেই এই কারবারের রমরমা বলে অভিযোগ। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

.