দুই বছরে কতটা বদলেছে কামদুনি? সরেজমিনে ২৪ ঘণ্টা
২০১৩, ৭ জুন। কামদুনিতে ধর্ষণ করে খুন করা হয় কলেজ ছাত্রীকে। গর্জে ওঠে উত্তর চব্বিশ পরগনার এই অখ্যাত গ্রাম। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয় গোটা গ্রাম। দাবি ছিল রাস্তায় যথাযথ আলো, পুলিসি টহলের। দুবছর পর গ্রামবাসীদের সেই দাবি কী পূরণ হয়েছে? কতটা বদলেছে কামদুনি? সরেজমিনে ঘুরে দেখলেন আমাদের প্রতিনিধি দেবারতি ঘোষ।
ওয়েব ডেস্ক: ২০১৩, ৭ জুন। কামদুনিতে ধর্ষণ করে খুন করা হয় কলেজ ছাত্রীকে। গর্জে ওঠে উত্তর চব্বিশ পরগনার এই অখ্যাত গ্রাম। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয় গোটা গ্রাম। দাবি ছিল রাস্তায় যথাযথ আলো, পুলিসি টহলের। দুবছর পর গ্রামবাসীদের সেই দাবি কী পূরণ হয়েছে? কতটা বদলেছে কামদুনি? সরেজমিনে ঘুরে দেখলেন আমাদের প্রতিনিধি দেবারতি ঘোষ।
৭ জুন ২০১৩। কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন এক তরুণী। দুপুরের আলোয় নির্জন রাস্তা থেকে তাঁকে টেনে নিয়ে যায় শ্বাপদের দল। আট বিঘা নামের এই জমিতে ধর্ষণের পর খুন করা হয় তাঁকে।
গ্রামের মেয়ের এমন পরিণতিতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে কামদুনি। কামদুনির জ্বালা জুড়োতে ধুলো ভরা পথ ভেঙে বারবার গ্রামে এসেছেন নেতা-মন্ত্রীরা। আশ্বাস, প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আতঙ্কপুরীর ছবিটা তারপরেও বদলায়নি। দিনের আলোয় তরুণীকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনার দুবছর পর রাতে সেখানে নিরাপত্তার ছবিটা কেমন? অথচ প্রতিশ্রুতি ছিল অনেক।
নেতা-মন্ত্রীরা এসে বলে গিয়েছিলেন, প্রবেশপথ থেকে গ্রামের ভিতর পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার ভাঙা পিচ রাস্তা মেরামত করা হবে। আজও তা হয়নি। প্রতিশ্রুতি ছিল রাস্তায় আলো বসবে। প্রায় এক বছর ধরে পড়ে রয়েছে লাইটপোস্ট। আলো এখনও বসেনি। প্রতিশ্রুতি ছিল, আট বিঘা জমির পাঁচিল ভেঙে স্থায়ী পুলিস ফাঁড়ি তৈরি করা হবে। পাঁচিলও ভাঙা হয়নি, ফাঁড়িও হয়নি। গ্রামবাসীদের দাবি ছিল, আট বিঘা জমিতে নিহত ছাত্রীর স্মরণে একটা কলেজ তৈরি হোক। তাও হয়নি।
একটা মর্মান্তিক মৃত্যুর বিনিময়ে কামদুনি তাহলে পেলটা কী?
সেই তালিকায় রইল--
** নিহতের পরিবারের সদস্যকে সরকারি চাকরি
** গ্রামের কয়েকটি পরিবারকে অন্ত্যোদয় কার্ড
** কামদুনির ক্লাবগুলিতে সরকারি অনুদান
**গ্রামে টাটা ম্যাজিক গাড়ির নতুন রুট
কিন্তু এসব কি আদৌ চেয়েছিল কামদুনি!
আজ কামদুনিতে ছিল স্মরণসভা। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য, লকেট চট্টোপাধ্যায়, চিত্রশিল্পী সমীর আইচ, নাট্যব্যক্তিত্ব কিন্নর রায়, আইনজীবী ভারতী মুত্সুদ্দি, সিপিআইএম নেত্রী রমলা চক্রবর্তী। দুবছর পরও কি মিলেছে বিচার? পালন হয়েছে প্রতিশ্রুতি। স্মরণসভা থেকে উঠে এল এরকম হাজারো প্রশ্ন।