ভোট মিটতেই শিলিগুড়িতে ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মানলেন মন্ত্রী গৌতম দেব
ভোট মিটতে না মিটতেই, শিলিগুড়িতে ফের সামনে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এনজেপি এলাকা উত্তপ্ত, এলাকা দখলের লড়াই ঘিরে। পরিস্থিতি এমনই যে, দলীয় কোন্দলের কথা মেনে নিতে বাধ্য হলেন দলের হেভিওয়েট নেতা গৌতম দেবও।
ওয়েব ডেস্ক: ভোট মিটতে না মিটতেই, শিলিগুড়িতে ফের সামনে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এনজেপি এলাকা উত্তপ্ত, এলাকা দখলের লড়াই ঘিরে। পরিস্থিতি এমনই যে, দলীয় কোন্দলের কথা মেনে নিতে বাধ্য হলেন দলের হেভিওয়েট নেতা গৌতম দেবও।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষ, গিলতে হল গৌতম দেবকেও। মঙ্গলবার রাতেই এনজেপি এলাকায় প্রকাশ্যে ঝামেলায় জড়ায় তৃণমূলের দুই যুযুধান গোষ্ঠী।
এলাকা দখলের লড়াই
জয়দীপ নন্দী বনাম প্রসেনজিত্ রায়
মঙ্গলবার রাতে তিন তৃণমূল কর্মীর গ্রেফতারি ঘিরে বচসায় জড়িয়ে পড়ে জয়দীপ ও প্রসেনজিতের দুই গোষ্ঠী। মাঝেমধ্যেই ঝুটঝামেলা লেগে থাকে, দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে। এলাকায় তৃণমূলের দাপুটে নেতা বিজন নন্দীর মৃত্যুর পর থেকে অবস্থা জটিল হয়। এনজেপি এলাকায় INTTUC-র সভাপতি পদের দখল নিয়ে লড়াই বিজন নন্দীর ভাই জয়দীপ নন্দী এবং দলের আরেক নেতা প্রসেনজিত্ রায়ের মধ্যে।
ঝামেলা মেটাতে গৌতম দেবের ফর্মূলা মতো, দুই নেতার হাতে আলাদা আলাদা দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়। এরপরও মেটেনি অন্তর্দ্বন্দ্ব। মঙ্গলবার রাতে দুপক্ষের ঝামেলার পর, ধরপাকড় শুরু করে পুলিস। অস্ত্রসমেত গ্রেফতার হয় তিন জন। অভিযোগ, তাদের নিয়ে যেতে বাধা দেয় প্রসেনজিত্ গোষ্ঠীর লোকজন।
বুধবার অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও কথাই মানতে চাননি জয়দীপ নন্দী।
তড়িঘড়ি বুধবার সকালে গৌতম দেবের বাড়িতে বৈঠক হয়। ডাক পড়ে জয়দীপ, প্রসেনজিত্ দুজনেরই। বৈঠক থেকে কোনও সুরাহা মেলেনি বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর। এদিকে, এলাকাবাসীর মধ্যে ক্রমেই বাড়ছে আতঙ্ক-আশঙ্কা। কীভাবে মিটবে দ্বন্দ্ব, পথ খুঁজতে ব্যস্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।