শ্যালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা জামাইবাবুর
স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে ফেরার। এবারে বাড়িতেই শ্যালিকাকে খুন ও ধর্ষণের চেষ্টা জামাইবাবুর। মারধরের জেরে গুরুতর জখম ওই কিশোরী। গত কয়েকদিন জেলার এ হাসপাতাল থেকে সে হাসপাতালে ঘুরেছেন কিশোরীর আত্মীয়রা। এবারে আশঙ্কাজনক ওই কিশোরীকে ফিরিয়ে দিয়েছে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালও। শেষপর্যন্ত পটাশপুরের ওই কিশোরীকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে এগরার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্যুরো: স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে ফেরার। এবারে বাড়িতেই শ্যালিকাকে খুন ও ধর্ষণের চেষ্টা জামাইবাবুর। মারধরের জেরে গুরুতর জখম ওই কিশোরী। গত কয়েকদিন জেলার এ হাসপাতাল থেকে সে হাসপাতালে ঘুরেছেন কিশোরীর আত্মীয়রা। এবারে আশঙ্কাজনক ওই কিশোরীকে ফিরিয়ে দিয়েছে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালও। শেষপর্যন্ত পটাশপুরের ওই কিশোরীকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে এগরার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিয়ের পণের দাবি না মেটায় স্ত্রীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। দুবছর আগের এগরার পটাশপুরের সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কাদের শেখ পুলিসের খাতায় ফেরার। খুনে অভিযুক্ত হিসেবে জেলে ছিল তার মামা এবং পরিবারের সদস্যরা। কিছুদিন আগে তাদেরও জামিন হয়। এরপরই আরও এক অপরাধ। এবারে শ্যালিকাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল কাদের শেখ ও তাঁর মামার বিরুদ্ধে। দিদির বিয়েতে দেওয়া পণের জিনিস ফেরত্ চাইতে গেলে ওই কিশোরীর ওপর চড়াও হয় জামাইবাবু এবং তাঁর আত্মীয়রা।
ওই কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টাও হয় বলে অভিযোগ করেন তাঁর মা। মারধরের জেরে গুরুতর জখম ওই কিশোরী। কিন্তু গরিব পরিবারটি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেনি। কয়েকদিন বাড়িতেই ছিল ওই কিশোরী। শেষপর্যন্ত পটাশপুর থানার পুলিস উদ্যোগ নিয়ে ওই কিশোরীকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু নির্যাতিতাকে ফিরিয়ে দেয় কলকাতার সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। পরে পুলিস ওই কিশোরীকে এগরা হাসপাতালে ভর্তি করে।
অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। চলে পথ অবরোধও। ঘটনার মূল অভিযুক্ত দুবছর ধরে পুলিসের খাতায় ফেরার। অথচ সে জামিনে মুক্ত মামাকে সঙ্গে নিয়ে নিজের বাড়িতেই ফের বড়সর অপরাধ ঘটাল। খুনের মামলায় ফেরার অভিযুক্ত কী করে নিজের বাড়িতেই ছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। গোটা ঘটনায় তাই পুলিসের ভূমিকায় তাঁরা ক্ষুব্ধ। আশঙ্কাজনক কিশোরীকে কেন এসএসকেএমের মতো সরকারি হাসপাতাল ফেরাল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা।