প্রযুক্তির জটে আটকে কোচবিহার বিমানবন্দরের রানওয়ের সম্প্রসারণ

প্রযুক্তির জটে আটকে কোচবিহার বিমানবন্দরের রানওয়ের সম্প্রসারণ। এবিষয়ে রাজ্যের পরিকল্পনায় আপত্তি জানিয়েছে DGCA। রানওয়ে সম্প্রসারণের বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে চলছে আলোচনা। এসবের টালবাহনায় জুন মাসেই কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছে উড়ান সংস্থা।

Updated By: Nov 28, 2015, 01:06 PM IST
প্রযুক্তির জটে আটকে কোচবিহার বিমানবন্দরের রানওয়ের সম্প্রসারণ

ওয়েব ডেস্ক: প্রযুক্তির জটে আটকে কোচবিহার বিমানবন্দরের রানওয়ের সম্প্রসারণ। এবিষয়ে রাজ্যের পরিকল্পনায় আপত্তি জানিয়েছে DGCA। রানওয়ে সম্প্রসারণের বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে চলছে আলোচনা। এসবের টালবাহনায় জুন মাসেই কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছে উড়ান সংস্থা।

রাজ্য সরকারের গড়িমসির দোহাই দিয়ে জুন মাসেই কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছে উড়ানসংস্থা। আকাশ পথে কোচবিহারকে দেশের বাণিজ্য নগরীগুলির সঙ্গে যুক্ত করতে চায় রাজ্য সরকার ও এয়াপপোর্ট অথরিটি। কিন্তু সেজন্য প্রয়োজন রানওয়ের সম্রসারণের। কোচবিহার বিমানবন্দরে এখন ছোট বিমান ওঠানামা করতে পারে। বড় বিমান নামানোর জন্য রানওয়ে আরও ২০০ মিটার বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু বিমানবন্দরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে মরা তোর্সা নদী। এর জেরে থমকে রয়েছে কাজ।

সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নদীর ওপরে ব্রিজ তৈরি করে তার ওপর তৈরি হবে রানওয়ে। কিন্তু সেই পরিকল্পনার নিরাপত্তা নিয়েই  প্রশ্ন উঠেছে। এধরনের পরিকল্পনায় আপত্তি জানিয়েছে ডিজিসিএ। কারণ বড় বিমানের ভার সহ্য নাও করতে পারে সেতু। আশঙ্কা থাকে সেতুর নিচে নাশকতার বিকল্প হিসাবে নদীর গতিপথ ঘোরানোর প্রস্তাব দিয়েছে ডিজিসিএ। রানওয়ে থেকে অন্তত ৭৫ মিটার দূরে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে নদী।

ডিজিসিএ-এর নতুন এই পরিকল্পনা নিয়ে বিবানবন্দর কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য সেচ দফতরকে। নদীর গতিপথ কীভবে বদল করা যায় তা নিয়ে এখন পরিকল্পনায় ব্যস্ত সেচ দফতর। এসব জটিলতার  মাঝে পড়ে  দেশের প্রথম সারির উড়ান সংস্থার কোচবিহার মুখী হওয়া এখন বিশ বাঁও জলে।

.