লালবাগ কাণ্ড: মৃত শিশুর ময়না তদন্ত
লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে অ্যাসিড কাণ্ডে মৃত শিশুর ময়নাতদন্ত করা জন্য দেহ তোলা হল কবর থেকে। এদিকে এই ঘটনায় কর্তব্যরত নার্সের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে অ্যাসিড কাণ্ডে মৃত শিশুর ময়নাতদন্ত করা জন্য দেহ তোলা হল কবর থেকে। এদিকে এই ঘটনায় কর্তব্যরত নার্সের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শোকজ করা হয়েছে নার্সিং সুপারকে। অ্যান্টিসেপটিকের বদলে প্রসূতির শরীরে অ্যাসিড প্রযোগের জেরেই শিখা বিবির সদ্যোজাতর মৃত্যু বলে অভিযোগ করেছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। বুধবার এই অভিযোগ ওঠার পর তত্পরতা শুরু হয় রাজ্যের স্বাস্থ্যমহলে। বৃহস্পতিবার মৃত শিশুর দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। সেই মতো লালবাগের মহকুমাশাসকের নির্দেশে টিকটিকিপাড়ায় পৌঁছন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ কুমার চন্দ্র, লালবাগের আইসি ইন্দ্রজিত্ মজুমদার। তাঁদের সামনেই কবর থেকে তোলা হয় দেহ। বহরমপুর জেলা হাসপাতালে মৃত শিশুর ময়নাতদন্ত করা হয়। অ্যাসিড কাণ্ডে এই কাণ্ডে জড়িত আয়া ঊষা হাজরার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সুপার জানান, ঘটনার দিন কর্তব্যরত নার্সের ভূমিকা কী ছিল, তা জানতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে নার্সিং সুপারকে। যদিও দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, কোনও শোকজ নোটিস দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবারই রিপোর্ট জমা দিয়েছে ঘটনার তদন্তে গড়া মেডিক্যাল বোর্ড। কী কারণে প্রসূতি মহিলা দগ্ধ হলেন তা নির্দিষ্ট করে বলা নেই রিপোর্টে। তবে, দুটি আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। অ্যালার্জি বা রাসায়নিক বিক্রিয়া থেকে ওই মহিলা দগ্ধ হতে পারেন বলে উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। এব্যাপারে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে রিপোর্টে।