মধ্যমগ্রাম গণধর্ষণ কাণ্ড: পাঁচ অপরাধীকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ

এগারো মাসের মধ্যেই মধ্যমগ্রাম গণধর্ষণকাণ্ডের সাজা ঘোষণা করল বারাসত ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। দোষী সাব্যস্ত পাঁচজনেরই কুড়ি বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।  পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাদের। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  গত বছর পঁচিশ থেকে সাতাশে অক্টোবরের মধ্যে দু দু বার গণধর্ষণের শিকার হয় সে।  অভিযোগ জানিয়েছিল  মধ্যমগ্রামের নির্যাতিতা কিশোরী।

Updated By: Sep 19, 2014, 05:51 PM IST
মধ্যমগ্রাম গণধর্ষণ কাণ্ড: পাঁচ অপরাধীকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ

মধ্যমগ্রাম: এগারো মাসের মধ্যেই মধ্যমগ্রাম গণধর্ষণকাণ্ডের সাজা ঘোষণা করল বারাসত ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। দোষী সাব্যস্ত পাঁচজনেরই কুড়ি বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।  পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাদের। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  গত বছর পঁচিশ থেকে সাতাশে অক্টোবরের মধ্যে দু দু বার গণধর্ষণের শিকার হয় সে।  অভিযোগ জানিয়েছিল  মধ্যমগ্রামের নির্যাতিতা কিশোরী।

একত্রিশে অক্টোবরের মধ্যেই এঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জীব তালুকদার ওরফে ছোট্টু এবং পলাশ দেবনাথকে গ্রেফতার করে পুলিস।  গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত রাজেশ মণ্ডল, পাপাই রায়, রাজীব বিশ্বাস ও অ্যান্টনি সচ্চিকে ।

অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তাঁদের ওপর চাপ আসতে থাকে বলে জানিয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার।  এর জেরে মধ্যমগ্রাম ছেড়ে এয়ারপোর্টের একটি ভাড়া বাড়িতে উঠে যেতে বাধ্য হন তাঁরা।

এয়ারপোর্টের কাছে ভাড়া বাড়িতেই অগ্নিদগ্ধ হয় ওই কিশোরী।

আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার।

নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ করে, কিশোরীর দেহ জোর করে পুড়িয়ে দেয় পুলিস।

রাজ্য সরকারের তরফে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি থেকে জাতীয় মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার বাবা।  

পুলিস অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে জানায়, নির্যাতিতা দু মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। সেই ভ্রুণের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। তারপর তা মিলিয়ে দেখা হয় অভিযুক্তদের ডিএনএ-র সঙ্গে। একজনের সঙ্গে মিলও পাওয়া যায়।

বিচার চলাকালীন রাজসাক্ষী হন অ্যান্টনি সচ্চি। বৃহস্পতিবার বাকি পাঁচজনকে গণধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করে বারাসত ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। শুক্রবার দোষীদের কুড়ি বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।

মামলায় মোট পঁয়ত্রিশজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। রাজসাক্ষী অ্যান্টনি সচ্চিকে মামলা থেকে অব্যহতি দিয়েছে আদালত।

 

.