তেহট্টে বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী, দলীয় সভায় বিলি সরকারি চেক
তেহট্টের ক্ষতে প্রলেপ দিতে গিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ তৃণমূলের সভামঞ্চ থেকে পুলিসের গুলিতে হতাহতদের পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন তিনি। মঞ্চে দাঁড়িয়েই একাধিক সরকারি প্রকল্পেরও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী দলীয় সভা থেকে চাকরির প্রতিশ্রুতিও দিলেন তিনি।
তেহট্টের ক্ষতে প্রলেপ দিতে গিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ তৃণমূলের সভামঞ্চ থেকে পুলিসের গুলিতে হতাহতদের পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন তিনি। মঞ্চে দাঁড়িয়েই একাধিক সরকারি প্রকল্পেরও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী দলীয় সভা থেকে চাকরির প্রতিশ্রুতিও দিলেন তিনি।
তেহট্টে পুলিসের গুলি চালানোর পর কেটে গিয়েছে প্রায় দেড় মাস। যদিও, এতদিন তেহট্টে আসতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সম্ভবত ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই আসরে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও কনভয় থেকে নেমে রাস্তায় হেঁটে, কখনও আবার মঞ্চ থেকে প্রশ্ন করে তেহট্টবাসীর মন বোঝার চেষ্টা করেছেন তিনি।
কিন্তু, তাত্পর্যপূর্ণভাবে মুখ্যমন্ত্রী যখন একের পর এক প্রশ্ন করে চলেছেন সেসময় প্রায় নিশ্চুপ শ্রোতারা। ছোটখাটো বিক্ষোভের ঘটনাও দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে উঠে এসেছে পাল্টা প্রশ্ন।
তবে সেই সব প্রশ্নের কোনও সদুত্তর মেলেনি। যেমন উত্তর মেলেনি দলীয় সভা থেকে কীভাবে সরকারি ক্ষতিপূরণের চেক বিলি, চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?
তেহট্টের ঘটনার পর পুলিসকে ক্লিন চিট দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দেড় মাস পর এদিন বললেন অনভিপ্রেত ঘটনা। আর, গোটা ঘটনার জন্য যথারীতি আঙুল তুললেন বিরোধীদের দিকে।
সব চেষ্টা করেও কি তেহট্টবাসীর মন জয় করতে পারলেন মুখ্যমন্ত্রী ? তিনি সভা ছেড়ে বেরনোর পর এই ফিসফিসানিই ছিল গোটা মাঠ জুড়ে।