শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার, মারণ রোগকে অগ্রাহ্য করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী জামালপুরের মমতা
শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার। একটু একটু করে ফুরিয়ে আসছে জীবন। কিন্তু স্বপ্নটাতো হারিয়ে যায়নি। ফুরোয়নি বাঁচার ইচ্ছে। তাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ইটাহারের জামালপুরের মমতা খাতুন। উচ্চমাধ্যমিক দিচ্ছেন। মারণ ব্যাধির যন্ত্রণাকে উপেক্ষা করেই। টেস্ট পরীক্ষার পরই এসেছিল খবরটা। অ্যাকিউট মেলয়েড লিউকিমিয়া। চলতি ভাষায় ভাষায় ব্লাড ক্যানসার। চিকিত্সকরা জানিয়ে দেন, হাতে সময় কম। কিন্তু এত সহজে কি মৃত্যুর কাছে হার মানবেন মমতা খাতুন ?
শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার। একটু একটু করে ফুরিয়ে আসছে জীবন। কিন্তু স্বপ্নটাতো হারিয়ে যায়নি। ফুরোয়নি বাঁচার ইচ্ছে। তাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ইটাহারের জামালপুরের মমতা খাতুন। উচ্চমাধ্যমিক দিচ্ছেন। মারণ ব্যাধির যন্ত্রণাকে উপেক্ষা করেই। টেস্ট পরীক্ষার পরই এসেছিল খবরটা। অ্যাকিউট মেলয়েড লিউকিমিয়া। চলতি ভাষায় ভাষায় ব্লাড ক্যানসার। চিকিত্সকরা জানিয়ে দেন, হাতে সময় কম। কিন্তু এত সহজে কি মৃত্যুর কাছে হার মানবেন মমতা খাতুন ?
বাড়িতে চরম আর্থিক অনটন। বাবা মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। দুই দাদা দিনমজুরের কাজ করে কোনওমতে সংসারটা টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে আবার মারণ ব্যাধির কোপ।
তবে উচ্চমাধ্যমিকের প্রস্তুতিতে কোনও ঘাটতি থাকতে দেননি মমতা। ডি জে টি রাধানগর হাই মাদ্রাসার এই ছাত্রীর এবার পরীক্ষার সিট পড়েছে ইটাহার হাইস্কুলে। খুব কষ্ট হলেও বাকিদের মতোই তিন ঘণ্টা ধরেই পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি।
অসম্ভব মনের জোর। তাই এমন অসাধ্য সাধন করতে পারছেন মমতা। বলছে পরিবার। তাঁদের আক্ষেপ একটাই, অর্থের অভাবে চোখের সামনে একটু একটু করে মমতাকে হারিয়ে যেতে দেখতে হচ্ছে তাঁদের।
মৃত্যুর সঙ্গে প্রতিমুহুর্তে চলছে অসম লড়াই। লড়ছেন মমতা। সমস্ত যন্ত্রণা-অসুবিধে উপেক্ষা করে স্বপ্নটাকে আঁকড়েই বাঁচতে চাইছেন এই কিশোরী। স্বপ্ন, আরও বড় হওয়ার। স্বপ্ন পরিবারের হাল ধরার।